দিলরুবা খাতুন
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব স্বরস্বতী পূজার প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। যেন দম ফেলার ফুসরত নেই তাদের। কাদামাটি দিয়ে পরম যতেœ প্রতিমার মুকুট, হাতের বাজু, গলার মালা, শাড়ির পাড়, প্রিন্ট ও প্রতিমার চুল তৈরি করছেন কারিগররা। এখন প্রতিমাতে দেওয়া হচ্ছে রং তুলির আঁচড়। পূজা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে প্রশাসন। জ্ঞান আহরণ ও বিদ্যা-বুদ্ধি অর্জনের জন্য হিন্দু শিক্ষার্থীরা স্বরস্বতী পূজা করে থাকেন। ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ হিসেবে প্রতি বছরের মত এবারও মেহেরপুরে আগামী রবিবার ১০ ফেব্রুয়ারি দিনব্যাপী শুরু হতে যাচ্ছে স্বরস্বতী পূজা। প্রতিমা তৈরীতে ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় বাপ-দাদার এই পেশা কোনমতে ধরে রেখেছেন প্রতিমা তৈরীর শিল্পীরা। নায়েব বাড়ি মন্দিরে কর্মরত প্রতিমা কারিগর রাজবাড়ির উজ্জল শর্মা জানান- তারা দুই ভাই ও বাবা বংশ পরম্পরা এই কাজ করে আসেছেন। এখানে এই মন্দিরে ১২টি পূজার অর্ডার নেয়া আছে। উজ্জল শর্মার বাবা কার্তিক শর্মা বলেন- ছেলেরা এখন আর হাতে কাদা মাখাতে চায় না। এই কাজের যে মুজুরি তা পাওয়া যায় না। অথচ চারুকলা থেকে আসা কারিগরদের ঠিকই চাহিদা মতো মজুরি দেয়া হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- মেহেরপুর জেলায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া, পূজা ম-প ও পারিবারিকভাবেও এবার স্বরস্বতী পূজার আয়োজন করা হয়েছে। এবার অন্তত ৪০টি স্থানে পূজা হবে বলে জানান পূজা উদযাপন কমিটির আহবায়ক ডা. রমেশ চন্দ্র । মেহেরপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান (পিপিএম) জানান- দর্শণার্থীর নিরাপত্তা ও পূজা শান্তিপূর্ণ করতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়া পুলিশের একটি কন্ট্রোল রুম থাকবে। যাতে তাৎক্ষনিক যে কোনো অপ্রতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলা করা যায়।