মেহেরপুরে স্বাভাবিক হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি। করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা কমে আসছে। গত দশ দিনে ১৭৮টি প্রাপ্ত রিপোর্টের মধ্যে পজিটিভ হয়েছে মাত্র ২১টি। মেহেরপুরে এ পর্যন্ত করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ৫৯৯জন। এদের মধ্যে মৃত্যু বরণ করেছে ১৫ জন। সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫০৫ জন এবং অন্যত্র রেফার্ড হয়েছেন ৪৬ জন। বর্মমানে চিকিংসাধীন আছে ২৮ জন। এদের মধ্যে মেহেরপুর সদরে ৯ জন, গাংনীতে ১২জন ও মুজিবনগরে ৭ জন।
করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সাথে সাথে স্বাভাবিক হচ্ছে জীবনযাত্রা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যতিত সকল সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্টানে কাজের গতি ফিরেছে। তবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে রাত ৮টার মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। সেই সাথে প্রতিটি সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশা পাশি করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা সামলানোর সকল প্রস্তুতি গ্রহন করছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জেলা পুলিশ প্রশাসনের জোর তদারকি থাকছে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে। স্বাস্থ্যবিধি মানাতে জেলা প্রশাসনের অভিযান, বিভিন্ন গনপরিবহন ও সড়কে সাধারণ জনগনের মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিয়মিত মাঠে থাকছে জেলা পুলিশ। তবে শহরের চাইতে গ্রাম অঞ্চলে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে তেমন কোন ভুমিকা নেই প্রাশসনের।
এছাড়াও বিভিন্ন এলাকা ঘুওে দেখা যায়, সাধারণ মানুষ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপাওে উদাসিন। বেশিরভাগ মানুষিই মুখে মাস্ক ব্যবহার করছে না। বিভিন্ন মার্কেটে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকতে কিছুদিন আগেও জ¦র মেপে ও জীবানুমুক্তকরণ করে মাধ্যমে প্রবেশে বাধ্যবাধকতা থাকলেও বর্তমানে ঢিলেঢালা ভাব লক্ষ্য করা হচ্ছে।
আসন্ন শীতে করোনার দ্বিতীয় ওয়েভে শুরু হওয়ার আশঙ্খায় মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে কঠোর হচ্ছে সরকার। গত ২১ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, করোনা পরিস্থতি নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভায় আলোচনা হয়েছে। শীত প্রধান দেশে করোনার দ্বিতীয় দফায় সংক্রমন হচ্ছে। আমাদের দেশে নভেম্বরে সেকেন্ড ওয়েভ আসে কিনা প্রস্তত থাকতে হবে।
সে লক্ষ্যে মেহেরপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ পুরোপুরি প্রস্তুত আছে দাবি করে সিভিল সার্জন ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, করোনা সংক্রমনের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আমরা ধারাবাহিক ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনা সংক্রমন যদি ঘটে আমরা সেজন্য প্রস্তুত আছি। আমরা আশা করি আগামী শনিবার থেকে আমরা মেহেরপুরেই করোনা সংক্রমন পরীক্ষা করতে পারবো। সেলক্ষে কাজ চলছে। আর যে কোন পরিস্থতিতেই করোনা নিয়ন্ত্রনের জন্য জেলা প্রশাসন, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও পুলিশ প্রশাসন সকল কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছে।