বুধবার (২ আগস্ট )স্বামী মোঃ মামুনুর রশিদের ২০১৮ সালের যৌন নির্যাতন আইনের ৩ ধারাতে করা একটি নালিশি মামলার আবেদন আমলে নিয়ে গাংনীর আমলী আদালতের বিচারক এস এম শরিয়ত উল্লাহ বাদীর স্ত্রী তহমিনা খাতুন (২৭)এর বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।
মামলার আবেদনে বাদী তার স্ত্রীকে একজন কুচক্রী, ফন্দিবাজ, যৌতুকলোভী, পরকিয়া প্রেমের অধিকারী ও সংসার নষ্টকারী মহিলা বলে দাবী করে সুবিচারের আবেদন করেছেন।
বাদীর নালিশের বর্ণনা থেকে জানা গেছে ২০০৮ সালের ৭ আগস্ট গাংনীর বানিয়াপুকুরের মোঃ মামুনুর রশিদ ও যুগিন্দার তহমিনা খাতুন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। মামলার সাক্ষি তার সন্তান তাসনিমের জন্মের পর জীবিকার তাগিদে স্ত্রী-সন্তান ও পরিজন রেখে তিনি প্রবাসে (সিঙ্গাপুর) সাত বছর কাটান। প্রবাসে থাকা কালীন সময়ে তার পাঠানো টাকা পয়সা ও অলঙ্কার আসামী তার নিজ পিতা-মাতার বাড়ীতে রেখে দেয় এবং সেখানে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। বাদী দেশে আসার পর বাদী ও আসামী কিছুদিন একত্রে সংসার করলেও ৪ মাস পূর্বে তহমিনা খাতুন বাড়ীর ১ বিঘা জমি তার নামে জমি রেজিস্ট্রী ও নগদ দশ লক্ষ টাকা ব্যাংকে তার ব্যাংক হিসাবে রাখার দাবী করে সন্তানদের রেখে বাবার বাড়ীতে চলে যায়। স্ত্রীকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার একাধিক প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে বাদী সুবিচার পেতে আদালতের দ্বারস্থ হন।