মেহেরপুর সদর উপজেলার দরবেশপুর গ্রামের পূর্বপাড়া থেকে সাদা পোশাকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে হাকিম হোসেন ও আব্দুস সালাম নামের দুই পিতা পুত্রকে বাড়ি থেকে গভির রাতে তুলে নিয়েছে কে বা কারা।
তাদের সন্ধানের দাবিতে হাকিম হোসেনের স্ত্রী গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে মেহেরপুর জেলায় কর্মরত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ফরিদা খাতুন লিখিত বক্তব্যে জানান, গত ১৪ সেপ্টম্বর শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে সাদা পোশাক ধারী ১০/১৫ জন ব্যক্তি আমার স্বামী হাকিম হোসেন (৫০) ও একমাত্র ছেলে আব্দুস সালামকে অস্ত্রের মুখে হাতে হ্যান্ডকাফ পড়িয়ে আটক করে নিয়ে আসে। আমি এসময় তাদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন জিজ্ঞাসা করলে ধমক দিয়ে চুপ থাকতে বলে, বলেন প্রয়োজন শেষে রেখে যাব, চিন্তার কোন কারণ নেই।
পরে নিল রঙের একটি গাড়িতে করে মেহেরপুরের দিকে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে নিয়ে আসার ৬দিন পার হলেও তাদের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছেনা।
এ ঘটনার পর গত ১৭ সেপ্টেম্বর মেহেরপুর সদর থানায় জিডি করতে গেলে ডিউটি অফিসার জিডি গ্রহণ না করে ওসি সাহেবের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। পরবর্তীতে আজ ১৯ সেপ্টেম্বর পুনরায় জিডি করতে গেলে ডিউটি অফিসার একই কথা বলেন। পরে ওসি সাহেবের সাথে জিডির বিষয়ে কথা বলতে গেলে তিনি বলেন, আপনার জিডি আমাদের পক্ষে গ্রহণ করা সম্ভব না, পারলে অন্য জায়গায় খোঁজ করেন। এর মধ্যে আমি ডিবি অফিস, র্যাব অফিস ও যৌথবাহিনীর সাথে যোগাযোগ করলেও তারাও কোন সন্ধান দিতে পারেননি।
তিনি অসহায় কন্ঠে বলেন, আমার স্বামী ও ছেলে যদি অপরাধি হয়। তাহলে তাদের শাস্তি দেওয়া হোক। পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কেউ আটক করে বলুক। অন্তত জানতে পারবো তারা বেঁচে আছে। কিন্তু এভাবে গোপনে লুকিয়ে রাখা হয়েছে কেন। কার কাছে আমার স্বামী ও ছেলের সন্ধান পাব। আমার পরিবারে তারা দুজন ছাড়া আর কোন পুরুষ সদস্য নাই। এক বছরের নাতি ছেলে সারাদিন আব্বু বলে কাদছে, আমি কোন জবাব দিতে পারছি না।
উল্লেখ্য, গত ১১ সেপ্টেম্বর রাতে ওই গ্রামে রোকন ও হাসান নামের দুই চাচাত ভাইকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ওই ঘটনার পর থেকেই এলাকার কয়েক জনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পরে তাদের ছেড়ে দিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
মেপ্র/ নিজস্ব প্রতিবেদক