স্বাস্থ্য সনদ প্রদানে ঘুষ নেওয়ার ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলেও সিভিল সার্জন কোন বিভাগীয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেননি। অভিযুক্ত মেহেরপুর সিভিল সার্জন অফিসের প্রধান অফিস সহকারী (বড়বাবু) খলিলুর রহমান।
তিনি দাপটের সাথেই বলছেন সিভিল সার্জনের নির্দেশেই ১২ বছর ধরে স্বাস্থ্য সনদের টাকা নেয়া হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও চিত্রে দেখা ও শোনা যায় কোরিয়া যাবার জন্য একদল যুবক বড়বাবুর রুমে সনদ পেতে দেন দরবার করছেন।
যারা প্রতিসনদে ৭শ করে টাকা দিচ্ছেন তাদের সনদ দেয়া হচ্ছে। যারা ব্যর্থ হচ্ছে তাদের সনদ ফাইল বন্দি করা হচ্ছে। ৭শ টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করা এক যুবকের আপত্তির মুখে তাকে সিভিল সার্জনের রুমে নিয়ে যেতে দেখা যায়।
কোরিয়া যাওয়ার প্রক্রিয়াটি পাঁচটি ধাপে শেষ হয়। প্রথমেই অনলাইন নিবন্ধন। এরপর লটারি করে বোয়েসেল। বিজয়ীদের কোরিয়ার ভাষাগত দক্ষতার পরীক্ষা দিতে হয়। এটি পাস করলে দক্ষতা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা। এরপর পুলিশের কাছ থেকে ছাড়পত্র নিয়ে ভিসার আবেদন করা যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কোরিয়াগামীদের এক যুবক জানান- অল্প সময়ের মধ্যে আমরা বিদেশ চলে যাবো, তাই কোন ঝামেলা না করে ৭শ করে টাকা ম্যানেজ করে খলিলকে দিই। তারপর সে আমাদের রিপোর্ট দেই।
যোগাযোগ করা হলে অফিস সহকারি খলিলুর রহমান জানান- সিভিল সার্জনের অনুমতি নিয়েই ২০১২ সাল থেকে সব ধরণের সাস্থ্যসনদে টাকা নেয়া হয়। স্বাস্থ্য সনদের টাকা রাস্ট্রের কোষাগারে জমা হয় কী না জানতে চাইলে তার সদুত্তর দিতে পারেননি।
সিভিল সার্জন ডা. মহী উদ্দিন আহমেদের কাছে টাকার নেয়ার কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটার নিয়ম আমার জানা নেই। জেনে জানাবো। আর আমি সম্প্রতি মেহেরপুরে জয়েন করেছি। আপনাদের অভিযোগটি ক্ষতিয়ে দেখা হবে।