মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের গেটে ও ক্যাম্পাসের সামনে অবৈধ অটো রিকশা, রাস্তার পাশে নানা ধরনের খাবার ও বাচ্চাদের খেলনার দোকান গড়ে ওঠার কারণে মেলায় পরিণত হয়েছে হাসপাতাল প্রাঙ্গণ। যার কারণে রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন।
হাসপাতালের মূল গেট থেকে শুরু করে আশপাশের রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে, যা রুগীদের হাসপাতালে পৌঁছাতে এবং চিকিৎসা সেবা নিতে সমস্যার সৃষ্টি করছে। এছাড়া, এসব দোকানগুলোতে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে, যা রোগীদের জন্য বাড়তি বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থা চললেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বিশেষ করে জরুরি রোগী পরিবহন এবং হাসপাতালে আসা সাধারণ মানুষজনের জন্য এই অটো রিকশা ও দোকানগুলো এক ধরনের বাধার সৃষ্টি করছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই বিষয়টি কয়েক দফা প্রশাসনের কাছে জানিয়েও কোনো সুরাহা পায়নি বলে অভিযোগ করেছেন।
রোগী নিয়ে আসা মোঃ সেলিম বলেন, হাসপাতালের গেটের সামনে অটো রিকশা ও খাবারের দোকানগুলো দিনের পর দিন বাড়ছে। রোগীদের হাসপাতালে আসা-যাওয়ার সময় চরম ভোগান্তি হচ্ছে। বিশেষ করে জরুরি অবস্থায় রোগী পরিবহন করা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। প্রশাসন যদি কিছু না করে, তাহলে রোগীরা আরও বিপদে পড়বে।
রোগীর আত্মীয় মিনু বেগম বলেন, আমার ভাইকে জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন ছিল, কিন্তু রিকশা ভাড়া নিয়ে সঠিক জায়গায় পৌঁছাতে পারছিলাম না। রাস্তার দোকানগুলোও রোগীদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মেহেরপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জমির মোহাম্মদ হাসিবুস সাত্তার জানিয়েছেন, হাসপাতালের চারপাশে অবৈধ অটো রিকশা এবং রাস্তার খাবার ও খেলনার দোকান সরানোর জন্য তিনি একাধিক বার প্রশাসনকে অবগত করেছেন। তবে, স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে এই সমস্যাগুলোর সমাধান করা সম্ভব হয়নি।
অটো রিকশাচালক রিয়াজ উদ্দিন বলেন এটা সত্যি যে হাসপাতালের সামনে রিকশার সংখ্যা বাড়ছে, যদি এখানে রিকশা পার্কিংয়ের জন্য নিয়মিত জায়গা থাকত, তাহলে সবাই সুবিধা পেত। তবে, আমরা চাই রোগীদের যেন কোন সমস্যা না হয়।
স্থানীয় প্রশাসনের কাছে দ্রুত এই সমস্যার সমাধান এবং হাসপাতালের আশপাশের রাস্তা পরিষ্কার করার দাবি জানাচ্ছেন সাধারণ জনগণ।