বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারী) রাত থেকেই মেহেরপুরে ঢেকে গেছে মেঘলা আকাশে। হিমেল হাওয়ার সাথে অবিরামভাবে হচ্ছে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি আর। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি আর শীতের কারনে স্থবির হয়ে পড়েছে জেলার জনজীবন।
ছুটির দিন শুক্রবার বৃষ্টির কারণে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের হচ্ছেন না। রাস্তাঘাটে মানুষের উপস্থিতিও কমে গেছে।
বৃষ্টি উপেক্ষা করে অনেককে ছাতা মাথায় নিয়ে তাদের প্রয়োজনীয় টুকিটাকি কাজ করতে দেখা গেছে। এদিকে ক্রেতা না থাকায় শহরের অনেক দোকান পাট বন্ধ রয়েছে।
বৃষ্টির সাথে হিমেল হাওয়ায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। বৃষ্টি ও হাড় কাঁপানো শীতে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিরন্ন ও নিম্ন আয়ের মানুষ। কাজ না পেয়ে অনেককে অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামাদুল হক জানান শুক্রবার বেলা ১২ টার সময় মেহেরপুর অঞ্চলে ১৪.৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামীকাল পর্যন্ত একই ধরণের অবহাওয়া থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গাংনী শহরের পাখি ভ্যান চালক টগর মিয়া ও আরজ আলী জানালেন, সারাদিনই টিপিটিপি বৃষ্টির কারণে কেউ বাইরে আসছেন না। সারাদিনে ১০০ টাকাও ভাড়া মারতে পারিনি।
মেহেরপুর শহরের বড় বাজার এলাকার সাগর মিয়া ও গোলাম রসুল জানান, প্রতিদিনই শ্রমিকের হাটে এসে বসলেই মহাজনরা এসে আমাদের নিয়ে যান। বৃষ্টির কারণে, কেউ নিতে আসেনি। আজকে শ্রম বিক্রি হবেনা। ছেলে মেয়ে নিয়ে কষ্টে কাটাতে হবে।
রাত থেকেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। যে কারণে কাজে বের হওয়া যাচ্ছে না।
রিক্সা চালক আলম হোসেন জানালেন, শীতের কারণে রিক্সা চালানো যাচ্ছে না। তাছাড়াও বৃষ্টির কারণে শহরে লোকজনের উপস্থিতি কমে গেছে। ভাড়াও কম হচ্ছে যে কারণে নিরব বসে থাকতে হচ্ছে।