মেহেরপুরের রাতের আঁধারে এক কৃষকের ১৭ বিঘা কলা গাছ কেটে তসরুপ করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে কৃষকের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২০ লাখ টাকা। ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও কোন ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। আর পুলিশ বলছে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গেল এক মাস আগে রাতের আঁধারে পাঁচ বিঘা কলা গাছ কেটে দিয়েছিল দুর্বৃত্তরা। সেই রেস কাটেতে না কাটতেই আবারো বারো বিঘা জমির কলা গাছ কেটে তসরুপ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বালিয়াঘাট গ্রামের মধ্যপাড়ার মাঠে এই ঘটনা ঘটে। কলা খেতে মালিক রহিদুল ইসলামের দাবি এতে তার ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২০ লাখ টাকা।
কলা চাষি রহিদুল ইসলাম জানান,অন্যের জমির প্রতি বিঘা ২০ হাজার টাকা দিয়ে লিজ নিয়ে ১৭ বিঘা জমিতে তিনি কলা চাষ শুরু করেন। লিজ খরচ বাদ দিয়ে প্রতি বিঘাতে ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়। আসন্ন রমজান উপলক্ষে এই কলা খেত থেকে আমি প্রায় ২০ লাখ টাকার কলা বিক্রি করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিলাম। আমার নিজ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পার গোয়াল গ্রামে কলা চাষ হয় না তাই। আমি পার্শ্ববর্তী জেলায় কলা চাষ করতে এসেছিলাম। আমার কারো সাথে শত্রুতা না থাকার পরেও আমার এত বড় ক্ষতি করেছে যা আমার পক্ষে পুষিয়ে নেয়া অসম্ভব।
রহিদুল ইসলামের নিকট আত্মীয়রা জানান, গত এক মাস আগে যখন আমার ভাইয়ের ৬ বিঘা জমির কলা গাছ কেটে দিয়ে দুর্বৃত্তরা তখন এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করার পরও এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ, তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
এলাকাবাসি জানান, যারা রাতের আঁধারে কৃষকের ফসল নষ্ট করেছে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান,লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।