হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা শুরু আজ। আজ শুক্রবার ২০ অক্টোবর থেকেই পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হতে যাচ্ছে। পূজা মন্ডপের সব কাজ প্রায় শেষ। মন্দিরের সাজসজ্জা, আলোকসজ্জা এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পুরোহিতের মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে পূজা শুরু হবে। সকল মন্দিরেই দেবীর রং করার কাজও শেষ হয়েছে।
মেহেরপুর জেলায় শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা, তাই ঘরে ঘরে দেবী দুর্গার আগমনীর বার্তা।
পূজা উপলক্ষ্যে হিন্দু সম্প্র্রদায়ের মাঝে সাজ সাজ রব। মন্ডপে মন্ডপে চলছে প্রতিমা বোধন প্রস্তুতির কাজ। এবার মেহেরপুর জেলায় ৪৩ টি পূঁজামন্ডপে পূজা উৎযাপন করা হবে বলে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন এবং জেলা পুঁজা উৎযাপন কমিটির সূত্রে জানা গেছে। এর মধ্যে মেহেরপুর সদর উপজেলায় ১৪ টি, গাংনী উপজেলায় ২২ টি এবং মুজিবনগর উপজেলায় ৭ টি পূজা মন্ডপ রয়েছে।
শুক্রবার ষষ্ঠী তিথিতে শুরু হবে এ পূজা এবং মঙ্গলবার দশমী তিথিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে অনুষ্ঠান।
মেহেরপুর জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব অশোক চন্দ্র বিশ্বাস জানান, ‘২০ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্যে দিয়ে পাঁচদিন ব্যপি আমাদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছর জেলায় সর্বজনীনভাবে ৪৩ টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গা উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এবারো প্রতিটি মন্দিরে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসব পালনের জন্য সকল প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে।’
মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কামরুল আহসান মেহেরপুর প্রতিদিন কে জানান, মেহেরপুর জেলার ধর্মীয় সম্প্রীতি সারা দেশের জন্য একটি উদাহরণ। এখানে কার্যত কোন ঝুঁকিপূর্ণ পূজা মণ্ডপ নেই। তবে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে মেহেরপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্ডপ গুলিতে ইউনিফর্ম ও সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে। এছাড়াও থাকছে কুইক রেসপন্স টিম।’