মেহেরপুর গাংনী উপজেলার এলাঙ্গী গ্রামের চাঞ্চ্যকর জোড়া হত্যা মামলায় দীর্ঘ ২০ বছর পরে ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে দিয়েছে আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস.এম আব্দুস ছালাম এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন।
দন্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামীরা হলো এলাঙ্গী গ্রামের বজলুর রহমান, শহিদুল ইসলাম, ওহিদুল ইসলাম, আব্দুল মজিদ ও ইয়াহিয়া। ২০ বছর পরে হত্যা মামলার রায় হওয়ায় বাদী পক্ষের লোকজন সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছে। অন্য দিকে এই রায়ের বিপক্ষে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানান আসামী পক্ষের লোকজন। হত্য কান্ডের পর দীর্ঘ পুলিশি তদন্ত ও ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহন শেষে গতকাল দুপুরে জনাকির্ন আদালতে এ রায় দেন বিচারক।
মামলায় রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবি ছিলেন অ্যাড. পল্লব ভট্টাচার্য ও আসামী পক্ষের আইনজীবি ছিলেন অ্যাড. এ.কে.এম শহিদুল ইসলাম।
মামলার বিবরনে জানা যায়, ১৯৯৯ সালের ১৩ জানুয়ারী বাদি দিরাজ উদ্দীন ও তার ভাই হিরাজ উদ্দীন এলাঙ্গী গ্রামে তাদের আত্মীয় ইউপি সদস্য আক্তারের বাড়ি বেড়াতে যান। রাতে খাবার পর আক্তারের নিজস্ব কক্ষে সবাই গল্প করছিলেন। এ সময় ২০ থেকে ৩০ জন অস্ত্রধারী সদস্যা তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে। যাওয়ার সময় হিরাজ পালিয়ে গেলেও সন্ত্রাসীরা তুলে নিয়ে যায় অপর দুইজনকে। পরদিন বেলা ১২ টার দিকে পার্শবর্তী চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার বগাদী গ্রামের একটি মাঠ থেকে আক্তার মেম্বর ও দিরাজের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঐ দিন রাতেই মেহেরপুর গাংনী থানায় দিরাজের ভাই হিরাজ উদ্দীন বাদি হয়ে একটি হত্যা মমলা দায়ের করেন। ২০০০ সালের ৩০ জুন মামলায় ৪০ জনকে আসামী করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে তৎকালীন গাংনী থানার এস.আই আব্দুল লতিব ও সামসুল হক।
মামলার বাদী নিহত দিরাজের ভাই হিরাজ উদ্দিন জানান, সে দিন রাতে আমি প্রাণে বাঁচলেও আমার ভাই সহ আক্তার মেম্বার কে সন্ত্রাসীরা নির্মম ভাবে হত্যা করে। এই ঘটনার পর দীর্ঘ সময় আমরা আজকের এই রায়ের অপেক্ষায় ছিলাম। আামরা এত দিন এই রায়ের জন্য আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেছি। তার প্রতি ফলন আমরা পেলাম। আমি সহ নিহতের পরিবাার এই রায়ে সন্তুষ্ঠ।
নিজস্ব প্রতিনিধি