৮ টি জেলা ডাকাত দলের সর্দারসহ ৬ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশ। পুলিশ সুপার রাফিউল আলমের নেতৃত্বে মেহেরপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), সাইবার ক্রাইম অপরাধ বিভাগ, সদর ও গাংনী থানা পুলিশ যৌথ এই অভিযান পরিচালনা করে এসব আসামি গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হলেন, মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর গ্রামের হামিদ মালিথার ছেলে তরিকুল ইসলাম (২৫), কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার শিমুলিয়া ডাঙ্গীপাড়া এলাকার আজিমুদ্দীনের ছেলে আলতাফ মন্ডল (৬০), কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বোয়ালদহ গ্রামের অক্ষর মন্ডলের ছেলে সোহেল হোসেন (৩৫), মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামের মুকুল জোয়ার্দ্দারের ছেলে আরিফুল ইসলাম ওরফে খোকন ওরফে প্রতীক (২৮), চুয়াডাঙ্গা জেলা আলমডাঙ্গা উপজেলার বড়বোয়ালীয়া গ্রামের আব্দুল মান্নান ওরফে মনা বাগের ছেলে সালাউদ্দীন (৪০), মেহেরপুর সদর উপজেলার সোনাপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে তরিকুল ইসলাম ও কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার নদপাড়া গ্রামের তাছের বিশ্বাসের ছেলে শাহাজামাল (৩৪)। শাহাজামালের কাছে কুষ্টিয়া থেকে প্রকাশিত স্থানীয় একটি পত্রিকার পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে।
গ্রেফতারকৃত আলতাফ হোসেন মন্ডল আশে পাশের ৮ টি জেলায় ডাকাতির সর্দার বলে জানা গেছে। এছাড়া গ্রেফতারকৃতরা বাকি ৫ জন সবাই আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য।
সাংবাদিক পরিচয়ে সাহাজামালের নামে কুষ্টিয়া মিরপুর, রাজবাড়ি সদর ও কালুখালি, গাংনী থানাসহ বিভিন্ন থানায় ডাকাতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৬ টি মামলা রয়েছে।
ডাকাত দলের সর্দার আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে রাজবাড়ি সদর থানা, কালুখালি থানা, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানা ও গাংনী থানায় চুরি, ডাকাতি ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মোট ৬ টি মামালা রয়েছে।
আরিফুল ইসলাম ওরফে খোকনের নামে গাংনী থানা, মুজিবনগর থানায়, চুরি ডাকাতি, ছিনতাই, নারীনির্যাতনসহ ৬ টি মামলা রয়েছে।
আসামি সালাউদ্দীনের নামে ঝিনাইদহ সদর থানা, গাংনী থানা, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানা, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, মাদ্রকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনসহ একাধিক অভিযোগে ৭ টি মামলা রয়েছে।
আঞ্চলিক সর্দারসহ ৬ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মিনি ট্রাক যার নং কুষ্টিয়া ন-১১-০২৯৩), বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানীর ৬ টি মোবাইল ফোন, তিনটি রামদা, একটি গাছ কাটা করাত, নগদ ১০ হাজার টাকা, হাফ প্যান্ট, গামছা ও একটি সাংবাদিকের পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে।
মেহেরপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আজ রবিবার (১৬ অক্টোবর) বেলা ১২ টার সময় স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফ করে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার রাফিউল আলম।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) জামিরুল ইসলাম, গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক, সদর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলমসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপার রাফিউল আলম বলেন, গাংনী থানার গত ১ সেপ্টেম্বর রাতে দেবিপুর-কল্যাণপুর মাঠে, ২৪ সেপ্টেম্বর দেবিপুর-করমদি মাঠে ও ১৩ অক্টোবর ছাতিয়ান-কামারখালি মাঠের মধ্যে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এঘটনায় পুলিশ অভিযান শুরু করে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে পুলিশ প্রথমে মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর গ্রামের তরিকুল ইসলামকে গাংনী উপজেলার জুগিন্দা গ্রামে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বাকি ৫ জন আসামিকে শনিবার দিনভর আজ রবিবার ভোররাত পর্যন্ত কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।