মেহেরপুর সদর উপজেলার আশরাফপুর গ্রামে পারিবারিক বিরোধের জেরে আঃ সালাম, রুপা খাতুন ও রাসেল নামের তিনজনকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার আবুল শেখের ফিরোজ, শওকতের ছেলে হাসান, সিরাজের ছেলে শাইদুল ইসলাম, আবুল শেখের ছেলে মিজান, সিরাজের ছেলে তারিকুল ইসলাম ও ফিরোজের মেয়ে তানিয়া খাতুনের বিরুদ্ধে। সকাল ১১টার দিকে আশরাফপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় একটি ট্রাক্টর, দুটি গরু, একটি স্বর্ণের চেইন ও বাড়ি ঘর ভাংচুরের অভিযোগ তুলেছে ভুক্তভূগীরা। তারা আরও অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম ও তার ছেলে লিজনের ক্ষমতার দাপটে তারা এই ছিনতাই ও হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।
ট্রাক্টর চালক আরিফ বলেন, পিরোজপুর থেকে মহাজনপুর এলাকায় ইটের খোয়া বহন করছিলাম। এমন সময় হাসান ও ফিরোজসহ ৮-১০ জন এসে আমার কাছ থেকে ট্রাক্টর ছিনিয়ে নেয়। এসময় আমি বাধা দিতে গেলে তারা জোরপূর্বক ট্রাক্টরটি নিয়ে চলে যায়।
এঘটনায় মেহেরপুর সদর থানায় একটি এজাহার দাখিল করা হয়েছে। এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রাসেল ও তানিয়া স্বামী স্ত্রী। তানিয়ার অবাধ্য চলাফেরার কারণে তাদের পারিবারিক ঝগড়াঝাটি হয়। একারণে আনুমানিক ২০দিন আগে রাসেলের শশুর ফিরোজ সহ হাসান, শাইদুল ইসলাম, মিজান, তারিকুল ইসলাম রাসেলের বাড়ি থেকে তানিয়াকে জোরপূর্বক বাড়িতে নিয়ে যায়।
পারিবারিক ঝগড়াঝাটিকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে ফিরোজ, হাসান, শাইদুল, মিজান, তারিকুল বাঁশের লাঠি, লোহার রড,জিআই পাইপ, কাঠের বাটাম,শাবল নিয়ে রাসেলের বাড়িতে প্রবেশ করে গালাগালি করতে থাকে। এসময় রাসেল তাদের কথার প্রতিবাদ করলে তারা রাসেলকে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে।
এসময় রাসেল মাটিতে পড়ে গেলে ফিরোজ তার মাপলার রাসেলের গলায় পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। রাসেলের চিৎকারে রাসেলের বাবা সালাম এগিয়ে এলে তাকেও এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে। এসময় রাসেলের মা রুপা খাতুন তাদের ঠেকাতে গেলে হাসান তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করে এবং রুপা খাতুনের চুল ধরে টেনেহিচড়ে মাটিয়ে ফেলে পিটিয়ে আহত ও শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। এসময় শাইদুল ইসলাম রুপা খাতুনের গলায় থাকা ৮ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। এর আগে উপরোক্ত ব্যক্তিরা নুরপুর মোড় থেকে রাসেলের ট্রাক্টর এবং বাড়ি থেকে দুটি গরু জোরপূর্বক নিয়ে যায়।