মেহেরপুর-কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কে সপ্তাহে পাঁচ দিন শিক্ষার্থীদের জন্য বাসভাড়া অর্ধেক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবহন মালিকদের তিনটি সংগঠন।
মেহেরপুর আন্ত:জেলা বাস ও মিনিবাস সমিতি কর্তৃক পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। আজ হস্পতিবার সকাল থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মেহেরপুর জেলার মধ্যে চলাচলরত সব লোকাল বাসে সকাল ৭টা-সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সব স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সরকার নির্ধারিত ভাড়ার অর্ধেক ভাড়ায় চলাচল করতে পারবেন। তবে এ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বৈধ পরিচয়পত্র দেখাতে হবে অথবা বিদ্যালয়ের নির্ধারিত ইউনিফর্ম থাকতে হবে। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকাকালীন সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে মেহেরপুর আন্ত:জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সড়ক সম্পাদক মো: খলিলুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: নুরুল ইসলাম (বাবলু) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মেহেরপুর জেলা কমিটির আহবায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ, সদস্য সচীব মো: মুজাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষর করেন।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে ৪ নভেম্বর মেহেরপুর পরিবহন সংশ্লিষ্ট তিনটি সংগঠনের নেতাদের যৌথ সভা হয়। এরপর সর্বসম্মতিক্রমে গত মঙ্গলবার বাস মিনিবাস কোচ মালিক সমিতির নেতাদের চূড়ান্ত সভায় অর্ধেক ভাড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এখন থেকে মেহেরপুর থেকে গাংনীর ভাড়া ৩১ টাকার পরিবর্তে ১৫ টাকা, মেহেরপুর থেকে বামন্দীর ভাড়া ৪৯ টাকার পরিবর্তে ২৫ টাকা, মেহেরপুর থেকে খলিশাকুন্ডি ঘাট ৬৫ টাকার পরিবর্তে ৩৫ টাকা, মেহেরপুর থেকে আমলার ভাড়া ৭৬ টাকার পরিবর্তে ৪০ টাকা, মেহেরপুর থেকে মিরপুর পর্যন্ত ৯৮ টাকার পরিবর্তে ৫০ টাকা ও মেহেরপুর থেকে কুষ্টিয়া পর্যন্ত ১২৮ টাকার পরিবর্তে ৬৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা রোডে মেহেরপুর থেকে আমঝুপি পর্যন্ত ১৪ টাকার পরিবর্তে ১০ টাকা, মেহেরপুর থেকে বারাদী পর্যন্ত ২৭ টাকার পরিবর্তে ১৫ টাকা, মেহেরপুর থেকে গোকুলখালি পর্যন্ত ৪১ টাকার পরিবর্তে ২০ টাকা ও মেহেরপুর থেকে চুয়াডাঙ্গা পর্যন্ত ৬১ টাকার পরিবর্তে ৩৫ টাকা নির্ধারিত করা হয়েছে।
মেহেরপুর আন্ত:জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সড়ক সম্পাদক মো: খলিলুর রহমান জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মেহেরপুর জেলা শাখা কমিটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জেলার মধ্যে এই সুবিধা অব্যাহত থাকবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মেহেরপুর জেলা শাখার সদস্যসচিব মুজাহিদুর রহমান জানান, আগস্ট মাস থেকে এই দাবি তোলা হয়েছিল। অবশেষে কার্যকর হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা যাতে শর্তগুলো মেনে যাতায়াত করেন, সে ব্যাপারে সবার সহযোগিতা চান তিনি।