মেহেরপুর জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস গন্থে মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করাই সংবাদ সম্মেলন করেছে গাংনী উপজেলার ১ নং কাথুলী ইউনিয়নের একাধিকবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান রানা। শনিবার বেলা ১১ টার সময় গাড়াবাড়িয়া নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মিজানুর রহমান রানা বলেন, কথা সাহিত্যিক রফিকুর রশিদ রিজভি এর লেখা ‘ মেহেরপুর জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস’’ নামক একটি বই প্রকাশ করেন। ২০০৯ সালে গতিধারা প্রকাশনা থেকে প্রকাশিত বইটিতে পরিশিষ্ট-ঘ(২৪৯) ও পৃষ্ঠা২৫৩ ত্রমিক নং-২৭ এ গাড়াবাড়িয়া গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলামকে স্বাধীনতা বিরোধী হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। বই তে একটি জায়গাতে বলা হয়েছে ইচ্চার বিরুদ্ধেও শান্তি কমিটির সদস্য হিসেবে নাম লেখাতে বাধ্য হয়েছেন অনেকে।
এব্যপারে ভিন্নমত রয়েছে বলেও লেখক ফুটনোটে উল্লেখ করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে আরো জানান, জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী আমিনুল ইসলামের জন্ম ১৯৫৭ সালের ১৮ই অক্টোবর। সে অনুযায়ী আমিনুল ইসলামের বয়স মাত্র ১৩ বছর। আমিনুল ইসলামের পরিবারের দাবী ১৩ বছরের কিশোর কিভাবে শান্তি কমিটির সদস হতে পারেন? আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে তা সম্পুর্ণরুপে মিথ্যা,বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত।
এছাড়াও আমিনুল ইসলাম ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত কাথুলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পাঃলন করেছেন। ১৯৭৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী এনামুল হকের নৌকার পক্ষে নির্বাচনে সক্রিয় ভাবে কাজ করতে গিয়ে বিএনপি সরকারের রোষানলে পড়েন।
মিজানুর রহমান রানা নিজেও ছাত্র জীবন থেকে ১৯৯২ সালে মেহেরপুর সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগ মনোনীত প্যানেল থেকে সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন এবং কলেজ ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ও জেলা ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে সক্রিয় দায়িত্ব পালন করেন।
কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে নৌকার মনোনীত হয়ে দু বার ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়ে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন। রফিকুর রশিদ রিজভি একজন বাংলা সাহিত্যের শিক্ষক। প্রাতিষ্ঠানিক নিরিখে তিনি ঐতিহাসিক নন,এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রতক্ষদর্র্শও নন।
তবে মেহেরপুর জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিষয়ে কিভাবে তিনি রাজাকার বা শান্তি কমিটির তথ্য সংগ্রহ করলেন তা বিবেচ্য বিষয় বলেও উল্লেখ করেন সংবাদ সম্মেলনে। লেখক তার লেখা বইটি প্রত্যাহার ও সংশোধন করবে এমন দাবী জানান আমিনুল ইসলামের পরিবার। এসময় আমিনুল ইসলামসহ পরিবকারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
এবিষয়ে ‘মেহেরপুর জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস’ বই এর লেখর কথা সাহিত্যিক রফিকুর রশিদ রিজভি জানান, আমি মেহেরপুর জেলার মুক্তিযুদ্ধকালীণ তথ্য সংগ্রহের সময় প্রতিটি এলাকায় ঘুরেছি। প্রবীণদের সাথে কথা বলেছি তার পর বই লেখার কাজ শুরু করেছি। ব্যক্তি আক্রোশ বা কাউকে সামাজিক ভাবে হেয় করা আমার উদ্দেশ্য নয়।
তার পরেও বই তে প্রথমে বলা হয়েছে আমার তথ্য বিষয়ে যদি কোন ভুল থেকে থাকে তাহলে আগামী সংস্করণে সংশোধন প্রকাশ করার সুযোগ রয়েছে। সেই ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট তথ্য সরবাহ করতে পারবেন দ্বিমতকারীরা।