গতকাল সোমবার বিকালে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে দেশে উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলীর সভাপতিত্বে মেহেরপুর শহীদ শামসুজ্জোহা নগর উদ্যানে অনুষ্ঠিত শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম, মেহেরপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রসুল, মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জিয়াউদ্দিন বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান, জেলা আওয়ামী লীগের মানব উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক এ এম এস ইমন, পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, জেলা যুবলীগ যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশান, মুজিবনগর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুল হাসান চাদু, মেহেরপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা লাভলী ইয়াসমিন প্রমুখ।
এর আগে আগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু করে একটি বিশাল মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে শহীদ শামসুজ্জোহা নগর উদ্যানে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে আওয়ামী লীগের সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা যোগ দেয়।
শান্তি সমাবেশে ইয়ারুল ইসলাম বলেন, কাধে কাধ মিলিয়ে সকলকে ঔক্যবদ্ধ ভাবে সকল বিএনপি জামায়াতের ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
গোলাম রসুল বলেন, কয়দিন আগে আমাদের বলা হয়েছে আমরা নাকি নৌকায় ভোট দিইনি, আমাদের নাকি মেরুদণ্ড ভাঙা।
জিয়া উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, গত ইউনিয়ন নির্বাচনে চারটি ইউনিয়নকেই ষড়যন্ত্র করে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই ষড়যন্ত্রকারীদের যদি আবার মনোনয়ন দেয়া হয় তাহলে ওই নৌকায় আমি চড়বো না। তাই আগামী নির্বাচনে আমি পরিবর্তন চাই। যদি নিবেদিত কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয় তাহলে আমার জীবন দিয়ে নৌকার বিজয় ছিনিয়ে আনবো।
মিয়াজান আলী বলেন, আমি যখন জেলা পরিষদে ভোট করি, শেথ হাসিনা নমিনেশন দেয় তখন যারা নিজেদের আওয়ামী লীগ বলে দাবী করেন ওই ফরহাদ হোসেন, খালেক, বাবলু বিশ্বাস, আমাম হোসেন মিলু জেলা পরিষদে আমার বিরুদ্ধে নির্বাচন করেছে।