মেহেরপুর প্রতিদিনকে জেলার গণ মানুষের পত্রিকা হতে হবে। শুধু সংবাদ নয়, সকল ভয়ভীতির উর্ধে থেকে সংবাদের ভিতরের সংবাদ তুলে ধরতে হবে।
এছাড়া মেহেরপুর জেলার সমস্যা, সম্ভাবনা ও উন্নয়নে মেহেরপুর প্রতিদিনকে পালন করতে হবে অগ্রণী ভূমিকা।
মেহেরপুর জেলার উন্নয়ন ও সমস্যা ও সম্ভাবনায় মেহেরপুর প্রতিদিনের ভূমিকা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব তুলে ধরেন গাংনী উপজেলার নাগরিক সমাজ ও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।
শনিবার বিকালে গাংনী শহরের বসুন্ধরা এলাকার ফুড সিটি মিলনায়তনে সুধি সমাজ, সুশীল সমাজ ও গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মেহেরপুর প্রতিদিন আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন পত্রিকার সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন। পত্রিকার উদ্দ্যেশ্য লক্ষ ও বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মাহাবুব চান্দু।
মতবিনিময় সভায় গাংনীর বিশিষ্ট সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, মেহেরপুর জেলা থেকে প্রকাশিত এই পত্রিকাটি মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে মানুষের কাছাকাছি এসেছে। পত্রিকাটি এলাকার উন্ননে ইতোমধ্যে সাড়া ফেলেছে। শুধু উন্নয়ন নয়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাদের বলিষ্ঠ লেখা, সম্ভাবনা কথার পাশাপাশি সমস্যাগুলোও তুলে ধরছেন। আগামীতে সেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে বলেও মত দেন তিনি।
গাংনী সরকারী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুল ইসলাম বলেন,এটি মেহেরপুরের পত্রিকা। তাই মেহেরপুরের ঘটনাগুলির প্রতি বেশী গুরুত্ব দিতে হবে। আগামী দিনে এলাকার উন্নয়নে পত্রিকাটি বেশী বেশী ভূমিকা পালন করার আশা ব্যক্ত করেন।
লুৎফুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ জাকির হোসেন বলেন, বাল্য বিবাহ, ঝরেপড়া রোধসহ বিভিন্ন সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টিতে মেহেরপুর প্রতিদিনকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।এছাড়া ন্যায় বিচার সৃষ্টিতে অবদান ও দুর্নীতিকে ঝাঁকুনি দিয়ে সমাজে অবস্থান তৈরী করতে হবে এই গণমাধ্যমটিকে।
গাংনী সূর্যাদয় স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালক ও বিশিষ্ট কবি আবুল কাশেম অনুরাগী বলেন, অন্যান্য পত্রিকার ভিড়ে মেহেরপুর প্রতিদিন পত্রিকাটি সমাজ বিনির্মানে অন্যন্য ভূমিকা পালন করছে। আমরা লক্ষ করেছি অশ্লিলতা পরিহার করে পত্রিকাটি সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। পত্রিকাটির সেই চলার পথকে গতিশীল করতে বিজ্ঞাপনের বিষয়টি ভাবতে হবে। এক্ষেত্রে সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধের শহীদ স্মৃতি পাঠাগারের সহসভাপতি ও বিশিষ্ট ছাড়াকার ইয়াসিন রেজা বলেন, মানুষ যখন সংকটে পড়ে তখন তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। দেশের সংকটের সময় আসল চিত্র তুলে ধরতে হবে। এই পত্রিকা সমাজের প্রতিচ্ছবি তথনি হবে যখন, পত্রিকাটি আমাদের কথা বলবে।দূর্ণীতিবাজদের সমাজের মাঝ তুলে ধরতে হবে। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের কথা বলতে হবে।
শালদহ এআরবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল ইসলাম বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে নজর দিতে হবে। সেক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সমস্যা, সম্ভাবনা ও ভাল দিকগুলো তুলে ধরতে হবে।
গাংনী সিএফএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আল হেলাল বলেন, মেহেরপুর জেলার একমাত্র পত্রিকা ইতোমধ্যে মেহেরপুর মানুষের কাছে একটি স্থান করে নিয়েছে। পত্রিকাটি এলাকার উন্নয়ন ও সমস্যাগুলো তুলে ধরার পাশাপাশি দুর্নীতি ও অনিয়মগুলোও মানুষের সামনে তুলে আনছে। পত্রিকাটি তার সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে বলে আমার বিশ্বাস। তিনি স্কুল কলেজের ভাল দিক গুলো তুলে ধরার আহবান জানান।
বিশিষ্ট গীতি কবি আব্দুল হামিদ বলেন, পত্রিকাটি যারা কবি সাহিত্যিক তাদের লেখাগুলো তুলে ধরছেন। আমি প্রত্যাশা করি যারা সাহিত্য ও কবিতা নিয়ে কাজ করেন এবং বোঝেন এধরনের মানুষকে সেখানে বসাতে হবে। এবং সাহিত্যের পাতায় আরো বেশী বেশী করে কবিতা ও সাহিত্যের অন্যান্য বিষয়গুলো তুলে ধরতে হবে।
গাংনী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিরুল ইসলাম অল্ডাম বলেন, মেহেরপুরের সংবাদগুলোর প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি প্রিয় স্বদেশ ও প্রিয় মুখ বিভাগে এলাকার গুনি মানুষগলোকে বেশী বেশী তুলে ধরতে হবে।
গাংনী উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন বলেন, পত্রিকাটি ইতোমধ্যে মানুষের মাঝে স্থান করে নিয়েছে। পত্রিকাটি এলাকার তৃণমুল পর্যায়ে পৌছানোর পাশাপাশি খুলনা বা আশে পাশের জেলাগুলোতেও পৌছাতে হবে।
উন্নয়ন কর্মী হেলাল উদ্দীন বলেন, জেলাতে যারা ভাল সাংবাদিকতা করছেন মেহেরপুর প্রতিদিনের পক্ষ থেকে তাদের বৎসরে একবার এ্যাওয়ার্ড দিতে হবে।
গাংনী বাজার কমিটির সভাপতি মাহাবুবুর রহমান স্বপন বলেন, পত্রিকাটি এলকার ঘটনা ছাড়াও তথ্য বহুল ঘটনারচিত্র তুলে আনতে হবে।
সাংবাদিক সাহাজুল সাজু তার বক্তব্যে বলেন,কৃষি প্রধান এদেশে মেহেরপুরই কৃষি প্রধান এলাকা। তাই, মেহেরপুর জেলার একমাত্র প্রিন্ট পত্রিকায় কৃষি সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে দেশের অন্যান্য এলাকায় কৃষকদের মাঝে কৃষির সাফল্য তুলে ধরতে হবে। ফলে কৃষি সম্পর্কে সব এলাকার কৃষকরা কাজ করতে উদ্বুদ্ধ হবে। সেই সাথে সাফল্য অর্জন করতে পারবে।
সাংবাদিক কামরুল ইসলাম বলেন, সংবাদই শুধু সংবাদ হবে। আমার দৃষ্টিতে মনে হয়েছে মেহেরপুর প্রতিদিন খবর বাছায়ে সেরা।