সময়ের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতেই প্রিন্ট ও অনলাইন থেকে ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করতে হবে। কারণ মানুষ এখন ডিজিটাল যুগ পার করে স্মার্ট যুগে অবস্থান করছে। কালেরধারায় বদলেছে সাংবাদিকতা। তবে এখনো প্রিন্ট পত্রিকার কদর উবে যায়নি। এটাকে বাঁচিয়ে রাখার পাশাপাশি ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করতে হবে। এটাতে বঅর্থ হলে সংবাদপত্রের জগতে আমরা পিছিয়ে যাবো।
এই যুগে দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মোবাইল সাংবাদিকতা। স্মার্ট যুগের মানুষ খবরের সাথে সাথে দেখতে চাচ্ছেন স্থিরচিত্র ও ভিডিওচিত্র। পাঠকদের চাহিদা বিবেচনা নিয়ে মেহেরপুর প্রতিদিন পরিবারকে এগিয়ে যেতে হবে ডিজিটাইলেজের যুগে। এসব কথা তুলে ধরেন দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চলের এই সময়ের সবচেয়ে পাঠকপ্রিয় দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিনের বিভিন্ন এলাকায় কর্মরত প্রতিনিধিবৃন্দ।
গতকাল সোমবার (২৯ জুলাই) পত্রিকার হলরুমে পত্রিকায় কর্মরত প্রতিনিধিদের নিয়ে আয়োজন করা হয় দিনব্যাপী কর্মশালা।
এ সময় বক্তব্য দেন মেহেরপুর প্রতিদিনের আইটি বিষয়ক উপদেষ্টা মুন্সি জাহাঙ্গীর জিন্নাত, বার্তা সম্পাদক জুলফিকার আলী কানন, গাংনী প্রতিনিধি আকতারুজ্জামান, মুজিবনগর প্রতিনিধি শের খান, স্টাফ রিপোর্টার সরোয়ার হোসেন ডালিম, সাকিব হাসান রুদ্র, কামরুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, আবু রায়হান নিরব, বারাদি প্রতিনিধি এস আই বাবু, কাথুলী প্রতিনিধি পলাশ আহমেদ, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি শাহানুর আলম, আলমডাঙ্গা প্রতিনিধি তানভির সোহেল, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি সাকিব বিশ্বাস, দর্শনা প্রতিনিধি আহসান মামুন, দামুড়হুদা প্রতিনিধি রকিবুল ইসলাম তোতা, উপস্থাপক ইয়ামিন হাসান, কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি মইন উদ্দিন। সম্মেলনে মেহেরপুর সহ বৃহত্তর কুষ্টিয়ার চার জেলার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
প্রতিনিধি সম্মেলনে পত্রিকার সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন বলেন, মেহেরপুর প্রতিদিন এখন শুধু একটি জেলা নয়, এটি দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি জেলার পাঠকপ্রিয় পত্রিকা। মাত্র ৭ বছরে পত্রিকাটি মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। পত্রিকার এই অবস্থানের জন্য শুধু আমরা একা কাজ করিনি। প্রতিটি প্রতিনিধির নিরলস পরিশ্রমের ফসল। শুধু প্রিন্ট ভার্সনই নয়, অনলাইন ভার্সনেও রয়েছে অসংখ্য পাঠক। শুধু জেলায় নয়, বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিনিয়ত যোগ হচ্ছেন নতুন নতুন পাঠক। তাই সময়ের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতেই আমরা এখন ডিজিটাল যুগে যেতে চাই। অগনিত পাঠক খবরের চাহিদা আমরা পুরণ করতে চাই। এজন্য পত্রিকার সাথে জড়িত সকল প্রতিনিধিদের এক সাথে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে সবাইকে প্রতিদিন অন্তত একটি বা দুটি করে ডিজিটাল কনটেন্ট দেওয়ার আহবান জানান।
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মাহাবুব চান্দু বলেন, প্রিন্ট পত্রিকার চাহিদা সমাজ থেকে এখনো যায়নি। তাই ডিজিটাল যুগে পদার্পণ করলেও আমাদের প্রিন্ট ভার্সনকেও শক্তিশালী করে রাখতে হবে। কারণ, প্রিন্ট পত্রিকা ইতিহাসের দলিল বলা হয়ে থাকে। তিনি বলেন, আমরা পত্রিকাটিকে সাত বছর বিভিন্ন চড়াই উত্তরাই, মামলা মোকদ্দমা ফেস করেই আজকে এখানে পৌছেছি। এই সাত বছরে পত্রিকার অর্জন আছে অনেক। আমরা কখনো দূর্ণীতি, অন্যায়, জুলম ও অনাচারের কাছে মাথা নত করিনি। আগামীতেও সাফল্য ধরে রাখতে পত্রিকা সেই ভূমিকা পালন করবে। এজন্য সকল প্রতিনিধিকে তার পেশাদারিত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে।
আইটি প্রধান মুন্সি জাহাঙ্গীর জিন্নাত বলেন, ডিজিটাল প্লাটফরমকে দাঁড় করাতে হলে সবার আগে খবর ও ভিডিওচিত্র ও তথ্যচিত্র দিতে হবে। তবে, প্রতিটি ভিডিওচিত্র যেনো নিজস্ব হয়। এছাড়া জনপ্রিয় করতে এবং পাঠকের দারপ্রান্তে পৌছাতে বিভিন্ন কর্মপন্থাও তুলে ধরেন তিনি।
গাংনী উপজেলা প্রতিনিধি আক্তারুজ্জামান বলেন, পত্রিকার প্রতিদিনের ঘটনাবলী নিয়ে সংবাদ তৈরির পাশাপাশি ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি করতে আমাদের লজিস্টিক সাপোর্ট দিতে হবে। বিশেষ করে লোগো সম্বলিত বুম, কর্ডলেস ওয়ার্লেস, আইডি কার্ড, নিয়োগপত্র ও অন্যান্য সাপোর্টের দাবি দাওয়া তুলে ধরেন তিনি। এজন্য পত্রিকার সম্পাদকসহ ব্যবস্থাপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।