“সরকার, প্রতিবেশী, আপন ভাই বাদ যায়নি কেউ প্রতারণার হাত থেকে, মীর কামরুজ্জামন, প্রতারণায় ছূয়েছেন আসমান” শিরোনামে গত ১২ এপ্রিল ২০২২ খ্রি. মেহেরপুর প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশিত হওয়া মীর কামরুজ্জমানের বিরুদ্ধে স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করেছেন আদালত।
আজ বুধবার মেহেরপুরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট-২, আমলী আদালতের বিচারক এস,এম, শরিয়ত উল্লাহ এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নম্বর: মিস কেস-৪/২০২২ খ্রি.।
একই সঙ্গে মামলায় পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ১৩ জুন ২০২২ খ্রি তারিখের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মেহেরপুর প্রতিদিনের সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালত বিশ্লেষণে বলেছেন, মেহেরপুর প্রতিদিনের প্রকাশিত সংবাদ সত্য হলে মীর কামরুজ্জামান দণ্ডবিধির ১৯৩, ১৯৬, ৪০৬, ৪১৭, ৪২০, ৪৬৪, ৪৬৭ ফৌজদারী আইন অনুযাীয় শাস্তিযোগ্য অপরাধী হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রচারিত সংবাদের সত্যতা যাচাই পূর্বক সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তি/ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার নিমিত্তে সুষ্ঠ তদন্ত আবশ্যক বলে আদালতের সন্তোষজনকভাবে প্রতিয়মান হয়। সার্বিক বিবেচনায় পুলিশ সুপার, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কুষ্টিয়াকে বিষয়টি তদন্ত র্পূবক আগামি ১৩/০৬/২২ খ্রি. এর মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
প্রসঙ্গত, অন্যের জমি জাল করে নিজের নামে রেজিস্ট্রি, সরকারি অর্পিত সম্পত্তি নিজের নামে রেজিস্ট্রিসহ নানা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে মীর কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে। যেসকল অভিযোগ নিয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, এসি ল্যাণ্ড ও গাংনী থানায় অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে এসকল তথ্যে সত্যতাও মিলে। মীর কামরুজ্জামান এসকল প্রতারণা করতে নিজেকে কখনো আইনজীবী, কখনো শিক্ষক আবার কখনো সাংবাদিক পরিচয় দেন।