সিরাজুদ্দোজা পাভেল
মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয় এর সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। গেটবিম ও কলাম ঢালাইয়ে নিন্মমানের বালু ও খোয়া (রাবিশ) ব্যবহার করে ঢালাই কাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তর এর নাকের ডগায় এবং কর্তৃপক্ষের তদারকি না থাকায় কোন প্রকার বাঁধা ছাড়াই নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ কাজ করছেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের লোকজন। এছাড়া গেটবিম ঠিকমতো কিউরিং করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। মেহেরপুর প্রতিদিন এর একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌছে অনুসন্ধান করে কর্তৃপক্ষকে জানালে কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেয়।
শনিবার (১মে) সরেজমিনে দেখা যায়, সীমানা প্রাচীরের কলাম ঢালাই এর কাজ চলছে। মিক্সিং মেশিন ছাড়াই সড়কের উপরে নিন্মমানের খোয়া, বিগতদিনের পরিত্যক্ত বালু সিমেন্ট মেশানো ঢালাই সামগ্রী মিশিয়ে নতুন ঢালাইয়ের মশলা তৈরী কাজ করা হচ্ছে। পাশেই ভেঙ্গে রাখা হয়েছে নিন্মমানের খোয়া। কাজের সাইডে প্রকৌশল অফিসের তদারকি করা কোন ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ঠিকাদার বলেন, যে পদ্ধতিতে কাজটি করা হচ্ছে এটা কোন পদ্ধতিই না। মিক্সিং মেশিন ব্যবহার না করেই রাস্তার উপরে সিমেন্ট, বালু খোয়া মিশিয়ে ঢালাই সম্পন্ন করা হচ্ছে দীর্ঘদিন গেট বিম যেটা তা ঠিকমত কিউরিং (পানি দিয়ে ভেজানো) করা হয়নি। ঢালাইয়ে যে খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে তা খুবই নিন্মমানের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে ৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের ২৯০ ফিট সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজটি করছেন কুষ্টিয়ার কামাল নামের একজন ঠিকাদার।
তবে ঠিকাদার কালামের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে মেহেরপুর জেলা শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তর এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জাহেদুল করীম জানান, এধরনের নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণকাজ করলে অবশ্যই সে কাজ বন্ধ করে দেব। নিম্নমানের কোন উপকরণ দিয়ে তারা কাজ করতে পারবে না। আমি বর্তমানে মেহেরপুরের বাইরে আছি। এখনই বিষয়টি আমি দেখছি। পরবর্তীতে নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত নিম্ন মানের সামগ্রী নেওয়া হয়েছে এবং তাৎক্ষণিক কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।