মেহেরপুর সরকারি কলেজে জারিকরা ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে পাবলিক পরীক্ষার সাথে নিচ্ছেন এইচএসসি পরীক্ষা। তবে অধ্যক্ষ বলেছেন, শুধু এই কলেজ নয় দেশের বড় বড় কলেজেও বোর্ড পরীক্ষার সাথে তাদের ইন্টারন্যাল পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।
মেহেরপুর সরকারি কলেজে গিয়ে দেখা গেছে সারা দেশের ন্যায় এই কলেজটিতেও চলছে এইচএসসি (পাবলিক) পরীক্ষা। তবে, পাবলিক পরীক্ষার পাশাপাাশি একই সময়ে চলছে এইসএসসির বাৎসরিক পরীক্ষা ও। কলেজের একাডেমিক ভবনে চলছে পাবলিক পরীক্ষা এবং পুরাতন ভবনে চলছে বাৎসরিক পরীক্ষা।
একটি সূত্র জানিয়েছেন, কলেজের অধ্যক্ষ শফিউল ইসলাম সর্দার এলপিআরে যাবেন। এজন্যই তড়িঘড়ি করে এই পাবলিক পরীক্ষার মধ্যেই কলেজের পরীক্ষা নিয়ে নিচ্ছেন। কলেজের পরীক্ষা নেওয়াতে ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা উঠবে। সেটা পকেটস্থ করতেই এই পরীক্ষা গ্রহণ করা হচ্ছে।
মেহেরপুর সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষা কমিটির সদস্য নাহিদ আন্দালিব জানান, এখন পাবলিক পরীক্ষার্থী কম রয়েছে। পরীক্ষার কারনে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার সময় দেরি হয়ে যাচ্ছে। তাই কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়ে পাবলিক পরীক্ষা ও ইন্টারন্যাল পরীক্ষা এক সাথে গ্রহণ করা হচ্ছে। ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে এক সাথে পরীক্ষা নেওয়া যায় কিনা এমন প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি।
গাংনী সরকারি ডিগি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মহা: মনিরুল ইসলাম বলেন, পাবলিক পরীক্ষা চলাকালিন সময়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কলেজের চারপাশে ১৪৪ ধারা জারি করে থাকেন। এর মধ্যে কোনোভাবে ইন্টারন্যাল পরীক্ষা নেওয়া মানে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করা।
কলেজের অধ্যক্ষ শফিউল ইসলাম সর্দার বলেন, কলেজে অনেক বিল্ডিং আছে। সেখানে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। অন্যান্য বড় কলেজগুলোতেও একই সাথে পরীক্ষা নেওয়া হয়ে থাকে। ১৪৪ ধারা ভঙ্গ হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গেছেন তিনি।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসক মো: শামীম হাসান বলেন, পাবলিক পরীক্ষার সাথে ইন্টারন্যাল পরীক্ষা চলছে কিনা আমার জানা নেই। এ ধরনের পরীক্ষা নিলে সেটা ক্ষতিয়ে দেখা হবে।