মেহেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ও সাব এ্যাসিষ্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ারদের বিরুদ্ধে দূর্ণীতির অভিযোগ পাহাড় সমান।নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে রাস্তা মেরামতের নামে অর্থ লোপাট, রাস্তা নির্মাণ শুরুর আগেই ঠিকাদারদের অতিরিক্ত অর্থ প্রদানসহ নানা ধরণের অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে।
মেহেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাদের এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কুষ্টিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ে উদ্যোগে ব্যাপক অভিযান চালিয়েছে।
দুদক কুষ্টিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নীল কমল পালের নেতৃত্বে সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার উপ-সহকারী পরিচালক মাহিদুল ইসলাম, আতিকুর রহমান, আবু তালহার নেতৃত্বে আজ বুধবার (২০ জুলাই) দুপুরের দিকে এ অভিযান চালানো হয়।
দুদকের অভিযানে সময় মেহেরপুর সওজ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডি)মিজানুর উপস্থিত থাকলেও মেহেরপুর সড়ক ও জনপথ নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলামসহ অন্যান্য সাব এ্যাসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়াররা অনুপস্থিত ছিলেন ।
তবে, একটি সূত্র জানায়, দুদকের অভিযানের খবর টের পেয়ে সাব এ্যাসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার শাহিনুজ্জামানসহ অন্যান্যরা গা ঢাকা দেন।
সাব এ্যাসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার শাহিনুজ্জামান জানান, আমি সকালে এসে সাইটে গেছিলাম। অফিসে ফিরেছি বিকেলের দিকে। তার আগে দুপুরের দিকে দুদকের টীম অফিসে এসেছেন। একটি রাস্তার অনিয়ম দেখার জন্যই অফিসে দুদকের টীম এসেছে বলে জানান তিনি।
দুদকের সহকারী পরিচালক নীল কমল পাল জানান, মেহেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের বিভিন্ন কাজে অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। বিভিন্ন কাজের নথিপত্র কতৃপক্ষকে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। নথিপত্র পরীক্ষ-নিরীক্ষার পর কোনো কিছু পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।