মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে রোগীদের দেওয়া হচ্ছে মান হিন ঔষধ। প্যাকেটের গায়ে লেখা মেয়াদ থাকলেও নষ্ট হয়ে গেছে এই সব সরবরাহকৃত ঔষধ। বৃহস্পতিবার হাসপাতালের এক রোগীকে হাসপাতালের সরবরাহ করা একপাতা (১০টি) ক্লোপিডোগরেল ৭৫ (হার্টের ঔষধ) এবং এ্যাসপিরিন ট্যাবলেট দেওয়া হয়। এর মধ্যে ক্লোপিডোগরেল ৭৫ ঔষধটির মান নি¤œ ছিল বলে অভিযোগ করেছে রোগীরা। তারা বলেন হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করা ঔষধে ছত্রাক জমে গেছে বা গ্রাম বাংলার ভাষায় যাকে বলে ছাতা পড়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক তাহাজ্জেল হোসেন এর কাছে গেলে উনি কোন কথায় শুনতে চাননি। পরে তত্ত্বাবধায়কক বলেন, এই ঔষধ এখানে আছে এটার জন্য আমি দায়ী না। আপনারা যা পারেন করেন, আমার এখানে থাকার কোন ইচ্ছা নাই । সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ক্লোপিডোগরেল ৭৫ ঔষটির গায়ে মেয়াদ থাকলেও ঔষধের মান কমে গেছে। ফলে ভালো অবস্থায় যে রকম রঙ থাকার কথা সে রকম রঙ নেই। ঔষধের উপর হালকা চাপ দিতেই গুড়ো হয়ে যাচ্ছে। ঘটনা যানা জানি হলে রোগীর কয়েকজন আত্মীয়র জেরার মুখে পড়েন হাসপাতালের আর এম ও ডা. এহসানুল কবীর। এসময় বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মক্ষিন হতে আর এম ও কবীরকে। রোগীর আত্মীয়র ভিতর থেকে কয়েকজন বলেন, ইতি মধ্যে বেশ কয়েক জন রোগীকে এইসব ্্্্্্ ঔষধ দেওয়া হয়েছে। যদি তারা ঐ ঔষধ খেয়ে অসুস্থ হয়েপড়ে তবে এর দায় কার। এই প্রশ্নের সঠিক কোন উত্তর তিনি দিতে পারেননি। আরএমও এহসানুল কবীর এসময় বলেন, আমাদের কাছে ঔষধের মান পরীক্ষা করার জন্য তেমন কোন টেকনিক্যাল নেই। এবং এ সব ঔষধ আসে সরাসরি হেড অফিস থেকে, এজন্য আমাদের কিছুই করার থাকে না। তারপরও আমরা চেষ্টা করি রোগীদের ভালো মত সেবা ও ঔষধ দিতে।
এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্বাবধায়ক তাহাজ্জেল হোসেন বলেন, এই সব ঔষধ সরকারি ভাবে আসে। আমাদের কিছুই করার থাকে না । এছাড়াও ঔষধের গায়ে মেয়াদ লেখা আছে তাতে এখনো মেয়াদ আছে বলে আমরা জানি। কিন্তু কি কারনে এইসব ঔষধের উপর ছাতা পড়লো তা বলতে পারবো না। এছাড়াও আমাদের তেমন কোন যন্ত্র নেই যেটা দিয়ে আমরা ঔষধের মান পরীক্ষা করতে পারবো।
মর্তুজা ফারুক রুপক