মেহেরপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে সদ্য যোগদান করা মেডিকেল অফিসার ডা. আবু হাসান মোহাম্মদ ওয়াহেদ (রানা) কর্তব্যরত অবস্থায় লাঞ্চিত হলেন এক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকের কাছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে কর্তব্যরত অবস্থায় হাসপাতালের ইমার্জেন্সী চিকিৎসকের রুমে অনধিকার প্রবেশ করে রাবেয়া মেডিকেল সার্ভিস এর মালিক আব্দুল লতিফ তাকে অশ্রাব্য ভাষা গালিগালাজসহ হুমকি প্রদান করেন। এর পর থেকে তিনি ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন। ওই ঘটনার একটি ভিডিও চিত্র মেহেরপুর প্রতিদিনের কাছে এসে পৌছেছে।
ভিডিও টি নিয়ে কথা হয় হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মোখলেসুর রহমানের সাথে, তিনি বলেন, চিকিৎসক যদি অপরাধ করে থাকেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ আছে। কিন্তু বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্র্তৃপক্ষকে না জানিয়ে সরকারি দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিক তার সাথে যে ভাষায় কথা বলেছেন এবং হুমকি প্রদান করেছেন তা ক্ষমার অযোগ্য। এর পর থেকে ওই চিকিৎসক হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। এমনকি আমাদের সাথে যোগাযোগও বন্ধ করে দিয়েছেন।
লাঞ্চিত চিকিৎসক আবু হাসান মোহাম্দ ওয়াহেদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ঘটনার পর থেকে তিনি ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে থাকায় কারো সাথে যোগাযোগ করছেন না এমনটি খবর পাওয়া গেছে।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের কোন মালিক হাসপাতালে এসে কোন চিকিৎসককে অশালিন ভাষায় কথা বলতে পারেন না অথবা হুমকি প্রদান করতে পারেন না। এ বিষয়ে রাবেয়া ডায়াগনষ্টিক সেন্টার মালিক আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তবে এ ব্যাপারে রাবেয়া মেডিকেল সার্ভিসেস এর মালিক আব্দুল লতিফের মোবাইলে শনিবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে ফোন করা হয়। ফোন বন্ধ থাকায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।