আরপিও’র ১৯৭২ এর ১৪ অনুচ্ছেদের কয়েকটি ধারা অনুযায়ী মেহেরপুর-২ আসনে ৯ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ, ৫ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল এবং ১ প্রার্থীর মনোনয়ন স্থগিত করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীম হাসান।
আজ রবিবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুুর ১ টা পর্যন্ত মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীম হাসানের সম্মেলন কক্ষে মনোননয়ন যাচাই বাছাই শেষে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মেহেরপুর-২ আসনের মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থীদের অ্যাডভোকেট রাশিদুল হক জুয়েল সদ্য গাংনী উপজেলা পরিষদ থেকে পদত্যাগ কারী ভাইস চেয়ারম্যান। মনোনয়নপত্রে তার এক শতাংশ ভোটারের সত্যতা না পাওয়া ও ভোটারের জাল স্বাক্ষরের কারণে তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
একই কারণে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নুরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোখলেসুর রহমান মুকুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বাদশা ও স্বতন্ত্র আশরাফুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
এছাড়া হলকনামায় উল্লেখিত শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র দিতে না পারায় বাংলাদেশ কংগ্রেসের মনোনীত প্রার্থী আল ফারুকের মনোনয়ন স্থগিত করা হয়।
মেহেরপুর-২ আসনের বৈধ প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী সাহিদুজ্জামান, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন, তৃনমূল বিএনপির আব্দুল গনি, এনপিপির গোলাম রসুল, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের শাহ জামাল, ওয়ার্কাস পার্টির নুর আহমেদ বকুল, জাকের পার্টির সামসুদ্দোহা, জাতীয় পাির্টর কিতাব আলী।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীম হাসান জানান, যাদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। তারা সংক্ষূব্ধ হলে আপিল করতে পারবেন।