স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে মেহেরপুরে বড় বাজার ও হোটেল বাজারে বিক্ষোভ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে বড়বাজারে এবং দুপুরের দিকে হোটেল বাজারে একই দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় ব্যবসায়ীরা জানান, এর আগের ২০২০ সালে করোনা ভাইরাস বাড়ার কারণে ঈদে লকডাউনে মেহেরপুর জেলার সকল ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা পরিচালনা করার কথা বলেন এবং অবিলম্বে লকডাউন প্রত্যাহার করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানান।
লকডাউন শুধু প্রধান সড়ক কেন্দ্রিক হাওয়াই ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করতে থাকে পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দিন থেকে লকডাউন শুরু হওয়ায় মঙ্গলবার সকালের দিকে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে শুরু করে।
সকালের দিকে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা নিয়মিত টহল শুরু করলে বড়বাজার এলাকার সকল ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করে।
এ সময় মেহেরপুর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মনিরুজ্জামান দীপু বলেন, আমরা লক্ষ্য করে দেখি সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা আছে। কেবল মাএ হাতে গোনা ৫-৬ টা ব্যবসা বন্ধ আছে।
তিনি আরো বলেন সকল ব্যবসায়ী গণ মাহে রমজানকে কেন্দ্য করে ব্যবসায়ীরা তাদের জমি বিক্রি করে টাকা ব্যবসা দিয়েছে।
তিনি বলেন, গত বছরে এ সময়ে ব্যবসায় অনেক ক্ষতি হয়েছে এবারো একই অবস্থা বিরাজ করছে ব্যবসায় । গত বছেরে ব্যবসায়ীরা কোন সাহায়্য সহযোগিতা পায়নী সরকার থেকে । এক দিকে করোনা এক দিকে পেটের ক্ষুধা ঠিক মাঝে অবস্থান করছি আমরা । এই ভাবে চলতে থাকলে সকল ব্যবসায়ীকে রাস্তায় বসতে হবে।
আমরা মনে করি সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত নিবে, যদি না নেওয়া হয় তা হলে আমাদের রাস্তায় নামতে হবে।
তাই আমরা আগামীকাল ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সরকার ঘোষিত লকডাউন দেখার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেন । এই লকডাউন চলাকালেই সরকার আরো এক সপ্তাহ লকডাউন বাড়ানোর ঘোষণা দেন।
লকডাউন চলাকালে মেহেরপুর শহরের প্রধান সড়কে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা কঠোর হলেও কাঁচা বাজার থেকে শুরু করে মেহেরপুরের প্রতিটি গ্রাম গঞ্জে লকডাউন কি জিনিস সাধারণ মানুষের মধ্যে তা খুঁজে পাওয়া যায়নি।
লকডাউন শুধু প্রধান সড়ক কেন্দ্রিক হাওয়াই ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করতে থাকে পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দিন থেকে লকডাউন শুরু হওয়ায় মঙ্গলবার সকালের দিকে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে শুরু করে।
সকালের দিকে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা নিয়মিত টহল শুরু করলে বড়বাজার এলাকার সকল ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করে।