বিকাল এজেন্টের মোবাইল ফোন চুরির মামলার প্রধান আসামী সিরাজগঞ্জ জেলার সিরাজুল ইসলাম (৫০) কে জিজ্ঞাসাবাদের দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে গাংনী থানা পুলিশ।
গাংনী থানার ভবানীপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) জহির রায়হান ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট গাংনী আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তারিকুল ইসলাম শুনানি শেষে দুই দিনের রিমান্ড মুঞ্জুর করেন।
শনিবার দুপুরের দিকে তাকে মেহেরপুর জেল হাজত থেকে গাংনী থানায় নেওয়া হয়েছে। আগামীকাল রোববার (২৪ এপ্রিল) তার রিমান্ড শেষ হবে।
মামলার তদন্ত অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) জহির রায়হান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আসামী সিরাজুল ইসলাম ও অপর আসামী সবিদুল ইসলাম গত ১৫ এপ্রিল শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রামের গোলাম বাজারের নুর টেলিকমে প্রবেশ করেন।
নুর টেলিকমের ০১৭০০৬৭৩৮৬৭ বিকাশ থেকে ০১৯৫০৯৮১২৬৮ মোবাইল নং ৫০০ টাকা বিকাশ পাঠান। পরে তারা দোকান মালিক কবলুস হোসেনের কাছ থেকে কিছু মালামাল চান। বিকাশ এজেন্ট ওই মোবাইল ফোনটি দোকানের ড্রয়ারে রেখে অন্য মাল নিয়ে আনতে গেলে সিরাজুল ইসলাম ও সবিদুল ইসলাম মোবাইল ফোনটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
এসময় জনগণ এলাকায় খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে সিরাজুল ইসলামকে আটক করে। পরে ভবানীপুর পুলিশ ক্যাম্পে খবর দিলে তাকে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে।
পলাতক সবিদুল ইসলাম কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার গুড়িপাড়া গ্রামের শশুর ইদ্রিস আলীর বাড়িতে বসবাস করেন।
নুর টেলিকমের মালিক কবলুস হোসেন জানান, রিয়েল মি-১০ নোট প্যাড যার দাম ২৩ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোনে বিকাশ একাউন্টে দুটি সিম কার্ডের ২ লাখ টাকা আছে। এঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।