ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ ২০ ওভারে তোলে ১৬৩ রান। ওপেনিংয়ে ৪৯ রানের ইনিংস খেলেন লিটন দাস, চারে নেমে আফিফ হোসেন করেন ফিফটি।
১৬৩ রান করেও জয়ের দেখা পায়নি টাইগাররা। অধিনায়ক নিকোলাস পুরানের টর্নেডো ইনিংসের সুবাদে ১০ বল হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ক্যারিবীয়রা।
ম্যাচ শেষে ১০ রান ও নিকোলাস পুরানকে থামাতে না পারার আক্ষেপে পুড়লেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
শুরুতে ৪৩ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। ৭ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ছিল ৪৭।
কিন্তু কাইল মায়ার্স ও নিকোলাস পুরানের ৫১ বলে ৮৫ রানের জুটি তাদেরকে জয়ের দিকে এগিয়ে নেয়। ৩৮ বলে ৫৫ রান করে আউট হন মায়ার্স। ৩৯ বলে অপরাজিত ৭৪ করে দলকে জিতিয়ে ফেরেন পুরান।
অথচ পুরানকে ১৭ রানেই থামাতে পারত বাংলাদেশ। মোসাদ্দেক হোসেনের বলে স্টাম্পিং করতে পারেননি উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহান।
এরপর ২৮ রানে নিজের বলে ফিল্ডিং করে রান আউটের সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি পেসার শরিফুল ইসলাম।
ম্যাচ শেষে সেসব প্রসঙ্গটাই তুলে ধরলেন মাহমুদউল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘ম্যাচের আগে ১৬৩ বললে হয়তো নিয়ে নিতাম। তবে সম্ভবত ১০ রানের ঘাটতি ছিল আমাদের। ১৭০ রানের বেশি করতে পারলে ভালো হতো। লিটন ভালো ব্যাট করেছে, আফিফ দুর্দান্ত ব্যাট করেছে। বোলিংয়েও শুরুতে আমরা ভালো করেছি। তবে ওদের দুই ব্যাটসম্যান সত্যিই ভালো খেলেছে। ’
পুরানকে আউটের সুযোগ হাতছাড়া করার হতাশায় বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘সুযোগ এসেছিল আমাদের জন্য। রান আউটের ওই সুযোগটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তবে এটাও বলতে হবে, কাইল মায়ার্স ও নিকোলাস পুরান দারুণ ব্যাটিং করেছে এবং ওদের জুটিই ম্যাচটি আমাদের কাছ থেকে বের করে নিয়ে গেছে। শুরুতে আমাদের বোলাররা ভালো করেছে, পাওয়ার প্লেতে তিনটি উইকেট নিয়েছে। (পরে) ওদের জুটিই ম্যাচ বের করে নিয়ে গেছে।’
হারের পরও কিছু ইতিবাচক দিক খুঁজে পেয়েছেন রিয়াদ। বললেন, ‘বেশ কিছু ইতিবাচক দিক আছে। ব্যাটিংয়ের দিক থেকে বললে, আমাদের ব্যাটিং পরিকল্পনা বেশ পরিষ্কার ছিল এবং দুই ওপেনার ভালো শুরু করেছে। বোলিংয়ে আমাদের খুঁজে বের করতে হবে, প্রয়োজনের সময় কীভাবে উইকেট নিতে পারি এবং সুযোগগুলো নিতে পারি।’