পুরো বিশ্বকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তি দিয়াগো ম্যারাডোনা। বুধবার আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন কিংবদন্তি ফুটবলার ম্যারাডোনা।
কিন্তু প্রিয় তারকার হঠাৎ চলে যাওয়া মানতে পারছেন না তার ভক্ত-সমর্থকরা। আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তির শেষ যাত্রায় করোনাভীতি উপেক্ষা করেই নেমেছিল মানুষের ঢল।
পুলিশ দিয়েও এই ঢল ধরে রাখা যায়নি। বরং দফায় দফায় ম্যারাডোনার ভক্ত-সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে। প্রাণের প্রিয় তারকাকে শেষবারের মতো দেখতে গিয়ে আবেগে যে কিছুতেই বাধ দিতে পারছিলেন না তারা।
তবে ম্যারাডোনার রেখে যাওয়ায় সম্পদের উত্তরাধিকারী কে হবেন? ম্যারাডোনা তার উত্তরসূরী নির্বাচন করে গেছেন কি না, সেটি এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে অনেকেরই সান্নিধ্য পেয়েছেন তিনি। সে হিসেবে কারা হতে পারেন তার সম্পদের উত্তরাধিকারী, সেটি জানার চেষ্টা করা যেতে পারে।
ক্লদিয়া ভিয়াফেইন
ম্যারাডোনার ১৬ বছর বয়স থেকে ক্লদিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক তার। ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ছিলেন তার স্ত্রী। ক্লদিয়া হচ্ছেন ম্যারাডোনার উত্থান-পতনের সাক্ষী, যিনি তাকে বিশ্বকাপ জিততে দেখেছেন। তবে দুজনের সম্পর্কটা বেশ বাজেভাবেই শেষ হয়।
ডালমা ও জিয়ানিনা
ডালমা ও জিয়ানিনা হলেন ম্যারাডোনা ও ক্লদিয়া সন্তান। মা-বাবার সম্পর্কের বাজে পরিণতির ছাপ পড়ে তাদের জীবনেও। তবে ম্যারাডোনা তার এই দুই সন্তানকে প্রচণ্ড ভালোবাসতেন।
ডালমা ও জিয়ানিনা ছাড়াও ম্যারাডোনার আরো ৩ সন্তান আছে। তারা হলেন হানা, দিয়েগো জুনিয়র ও দিয়েগো ফার্নান্দো। তবে এই তিন সন্তানের মায়েদের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক ছিল না ম্যারাডোনার।
ম্যারাডোনার বান্ধবীরা
শেষ সন্তানের মা ভেরোনিকা ওজেদার সঙ্গে অল্প কিছুদিনের জন্য সম্পর্ক ছিল ম্যারাডোনার। এর আগে রোচিও ওলিভা নামে তার আরেকজন বান্ধবী ছিল। ওলিভার সঙ্গে দুবাই, বুয়েন্স আয়ার্স ও মেক্সিকোতে বেশ সুসময় কাটিয়েছেন ম্যারাডোনা। তবে এই জুটির কোলে কোনো সন্তান আসেনি।
মাতিয়াস মোরলা
তিনি ছিলেন ম্যারাডোনার ব্যক্তিগত সহকারী। মৃত্যুর পর মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। তবে দিয়েগো তাকে প্রচণ্ড বিশ্বাস করতেন এবং তিনি ছিলেন ম্যারাডোনার শেষ সময়ের অন্যতম সাক্ষী।
লিওপোলদো লুকু
ম্যারাডোনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক। অপারেশন রুমে থাকলেও শেষ মুহূর্তে লুকু তাকে অপারেট করতে পারেননি। ম্যারাডোনার সবশেষ জীবন্ত ছবিটা পোস্ট করেছেন তিনি এবং বেশ বিতর্কিতও হয়েছেন।
ম্যাক্সি
ম্যারাডোনার ব্যক্তিগত সহকারী মোরলার সৎ ভাই ছিলেন তিনি। বেশ দুঃসম্পর্কের মনে হলেও ম্যারাডোনার বেশ কাছেই ছিলেন তিনি। বিশেষ করে দিয়েগোর দুঃসময়ে সার্বক্ষণিক তার পাশে ছিলেন ম্যাক্সি। এমনকি মৃত্যুর দিনও ঘরে ছিলেন ম্যাক্সি।
এছাড়া জোনাথন এসপোসিতো নামে দিয়েগোর একজন ভাগনে আছেন। তিনিও হতে পারে ম্যারাডোনার রেখে যাওয়া সম্পদের অংশীদার।