চুয়াডাঙ্গার যদুপুর গ্রামে সেনা সদস্যর পা ধরে ক্ষমা চেয়ে মা-বাবা ও নিজেকে রক্ষা করতে পারলেন না ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী রজনি।
চুয়াডাঙ্গার যদুপুর গ্রামে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে এক সেনা সদস্যের হাতে একই পরিবারের জন রক্তাক্ত জখম হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে নেয়া হয়েছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে।
এদিকে সেনা সদস্য হুসাইনের পা ধরে ক্ষমা চেয়ে বাবাকে মারার হাত থেকে রক্ষা করতে পারেনি মেয়ে রজনী খাতুন। সেনা সদস্যের এহেন কর্মকাণ্ডে এলাকায় বইছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।
জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের যদুপুর গ্রামের মসজিদ পাড়ার জয়নাল আবেদীনের সাথে মাছ ধরা নিয়ে গত মঙ্গলবার বিকালে শুকুর আলীর ছেলে নজর আলীর বাকবিতণ্ডা হয়। এঘটনা তখনই মিমাংশা হয়ে যায়।
পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে জয়নালের ছেলে সেনা সদস্য হুসাইন বাড়িতে এসে তার বাবার সাথে নজর আলীর বাক বিতণ্ডার বিষয়টি জানতে পারে। হুসাইন সন্ধান করতে থাকে নজর আলীকে।
এদিকে এশার নামাজ পড়ে নজর আলী মসজিদে কোরআন তেলয়াত করছিলো। জানতে পেরে সেনা সদস্য মসজিদের ভিতরে ঢুকে নজর আলীকে ধরে মাটিতে ফেলে বেধড়ক পেটাতে থাকে।
নজর আলীর চিৎকারে ছুটে আসেন স্ত্রী শাপলা খাতুন ও মেয়ে ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী রজনি খাতুন। এসময় সেনা সদস্য হুসাইন তাদেরকেও বেধড়ক মারপিট করে।
রজনী খাতুন জানায়, আমাকে মারধর করে বিবস্ত্র করে ফেলে। পরনের পোশাক আশাক সব ছিড়ে যায়। বাবাকে রক্ষা করতে আমি ওই সেনা সদস্যের পা পর্যন্ত চেপে ধরে ক্ষমা চাই। আর বলতে থাকি আমার বাবাকে আর মেরেন না। তাতেও মন গলে না তার। একপর্যায় প্রতিবেশিরা ছুটে এসে আমার বাবা নজর আলী, মা শাপলা খাতুন ও আমাকে হুসাইনের হাত থেকে রক্ষা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সামান্য তর্ক বিতর্কের ঘটনায় এমন মারধর দেখা যায় না। হুসাইনের মারধরে তার সামনে যেতে কেউ সাহস পায়নি।
আহত ৩ জনকেই উদ্ধার করে রাতেই চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার পর থেকে সেনা সদস্যের এহেন কর্মকান্ড গ্রামে বইছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।