যারা বাংলাদেশকে স্বীকার করে না তাদের এদেশে থাকার অধিকার নেই বলে জানিয়েছেন ডেইলি অবজারভার পত্রিকার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী।
তিনি বলেন, এই কুষ্টিয়া মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনা করেছে, এই কুষ্টিয়ার জনপদ লালনের স্মৃতি বহন করে, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত এই কুষ্টিয়া। এছাড়াও সাংবাদিকতার পথিকৃৎ কাঙাল হরিণাথের জনপদ। অথচ এই জনপদে ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন সাংবাদিকের প্রতিনিধিরা এসেছে জঙ্গিবাদী, সাম্প্রদায়িকতার গোষ্ঠী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে। জঙ্গীবাদ ও মৌলবাদীদের রুখতে হবে এখনই। শুধু সাংবাদিক নয়, সারাদেশে সকল মানুষকে এক হয়ে এসবের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যারা রাতের কালো আঁধারে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ক্ষত-বিক্ষত করেছে, তারা শুধু জাতির পিতার হাত ভাঙেনি। এদেশের সংবিধান, স্বাধীনতা ও গোটা বাঙালির উপর আঘাত হেনেছে। আর তাই আমরা সাংবাদিক সমাজ নিশ্চুপ থাকতে পারি না। এর ঠিক বিচার করারও দাবি জানান তিনি।
গতকাল সোমবার বিকালে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে সাংবাদিক গণজমায়েতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
এই সাংবাদিক নেতা আরও বলেন, বেশ কয়েক বছর আগে বিএনপি-জামায়াত শিবির সাংবাদিকের উপর আঘাত হেনেছিলো। আমার কপালে আজও সেই আঘাত আছে। অস্ত্রের ঝনঝনানিতে যে জনপদ ছিলো সেই জনপদ আজ শান্তির জনপদ। কুষ্টিয়ার উন্নয়ন হয়েছে ব্যাপক। দেশ স্বাধীনের পর অনেকে এমপি হয়েছিল কিন্তু তারা কুষ্টিয়ার উন্নয়ন করতে পারেনি। সাংবাদিকবান্ধব নেতা মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি এ জেলায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। করোনায় আক্রান্ত না হলে আরও অনেক উন্নয়ন দৃশ্যমান হতো।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)’র মহাসচিব শাবান মাহমুদের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, কুষ্টিয়া -১ আসনের সংসদ সদস্য আ.ক.ম সরোয়ার জাহান বাদশা, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)’র কোষাধ্যক্ষ দীপ আজাদ, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, শেখ মামুনুর রশীদ, সেবিকা রানী, বরুন ভৌমিক নয়ন, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী শাহেদ, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সাজেদ বকুল, নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুস সালাম, ময়মনসিংহ সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আতাউল হক খোকন, বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আমজাদ হোসেন মিন্টু, সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব, সাধারণ সম্পাদক জামিল হাসান খান প্রমুখ।
পরে জাতির জনকের ভাস্কর্যের সামনে দাঁড়িয়ে যতদিন না এই ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনার সাথে জড়িতদের কঠিন শাস্তি নিশ্চিত না হবে ততদিন পর্যন্ত সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়।