আন্তর্জাতিক নারী দিবসে দলীয় নেতাকর্মীদের আরেকটা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস। তিনি বলেছেন, আজ এ সরকারের আমলে আমরা নারীরা সবচেয়ে বেশি অবহেলিত, বঞ্চিত ও নির্যাতিত। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে আমাদের অবশ্যই জেগে উঠতে হবে।
সোমবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের র্যা লি-পূর্ব সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ র্যা লির আয়োজন করে।
জাতীয়তাবাদী মহিলা দল সভাপতি বলেন, গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া মানে গণতন্ত্র, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মানে বাংলাদেশ। গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে হলে আমাদের আবার আরেকটা মুক্তিযুদ্ধ করতে হবে।
আরেকটা যুদ্ধের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই আন্তর্জাতিক নারী দিবসে আমাদের অঙ্গীকার হোক- আসুন আরেকটা মুক্তিযুদ্ধ করি। যে যুদ্ধে নারীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে, দেশনেত্রীকে মুক্ত করবে। দেশনেত্রী মুক্ত হলে গণতন্ত্র মুক্ত হবে।
মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের পরিচালনায় র্যা লি-পূর্ব সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মহিলা দলের সাবেক সভাপতি নুরে আরা সাফা, মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, কেন্দ্রীয় নেত্রী নেওয়াজ হালিমা আরলি, নিলুফার চৌধুরী মনি ও জাহান পান্না বক্তব্য দেন।
সমাবেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রধান বিচারপতি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলার শুনানিতে বলেছেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেয়া ঠিক নয়।’
আবার বলেছেন, ‘অন্যান্য দেশেও ব্যঙ্গচিত্র হয়, কিন্তু বাংলাদেশের ব্যঙ্গচিত্র অন্যরকম। এতে দেশের ইমেজ ক্ষুণ্ন হয়।’ কিন্তু আমি প্রধান বিচারপতির কাছে একটি প্রশ্ন রাখতে চাই, কোনো নাগরিকের কথা বলা, মুক্তকণ্ঠে আওয়াজ তোলা, চিত্রাঙ্কনে ব্যঙ্গচিত্র তুলে ধরলে যদি তাকে সরকারি হেফাজতে খুন করা হয় তাহলে তাতে কি দেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি পায়?
15
Shares
facebook sharing buttonmessenger sharing button