ঝিনাইদহ জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক রাজু আহম্মেদের সঙ্গে সকল সাংগঠনিক সম্পর্ক ছিন্ন করে তাকে বহিস্কারের সুপারিশ করেছে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগ।
সোমবার রাতে এক বিবৃতিতে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক আছাদুজ্জামান আছাদ সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এখবর জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুবলীগ নেতা রাজু ও এস এম রবির অডিও রেকর্ড ভাইরাল হলে তা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই এমপি ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর দৃষ্টিগোচর হয়। অডিও রেকর্ডে যুবলীগ নেতা রাজু জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও জেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবু কনক কান্তি দাস সম্পর্কে অশ্লিল ও কুরুচিপুর্ন শব্দ ব্যবহার করে তার বাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে সম্প্রদায়ীক দাঙ্গার উস্কানী দেন। এ ছাড়া রাজু পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি বাবু জীবন কুমার বিশ্বাস সম্পর্কে অশ্লিল শব্দ ব্যবহার করে গালিগালাজ করেন।
রাজুর এহেন কথোপকথন দলীয় শৃংখলা পরিপন্থি, সাম্প্রদায়ীক দাঙ্গা বাধানোর অপচেষ্টা ও শিষ্টাচার বহির্ভুত বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। রাজু অডিওতে এমন বক্তব্য দিয়ে সংগঠন বিরোধী অপরাধ করেছেন মর্মে বলা হয়। ফলে জেলা আওয়ামীলীগ রাজুর সাথে সকল সাংগঠনিক সম্পর্ক ছিন্ন এবং এ ঘটনার কোন দায় দায়িত্ব ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগ বহন করবে না। দপ্তর সম্পাদক আছাদুজ্জামান আছাদ আরো জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ঝিনাইদহ জেলা যুবলীগ ও কেন্দ্রীয় যুবলীগকে রাজুর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য সম্প্রতি যুবলীগ নেতা রাজু ও হামদহ এলাকার যুবলীগ কর্মী এস এম রবির কথোপকথনের অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হলে তা মুহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়। হিন্দু সম্প্রদায় ও আওয়ামীলীগের সিনিয়র দুই নেতা কনক কান্তি দাস এবং জীবন বিশ্বাসকে“মালাউন” ও “চাড়াল” বলে গালি দেয় যুবলীগ নেতা রাজু।
এছাড়া আসন্ন জেলা পরিষদে কনক কান্তি দাসের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহনের কথাও জানান রাজু। ফলে ফেসবুকে দেশ বিদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে যুবলীগ নেতা রাজুকে দল থেকে বহিস্কারের দাবী তোলে।