টানা পাঁচদিন বন্ধ থাকার পর পুনরায় চালু হয় ইন্টারনেট সংযোগ। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার পর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ইন্টারনেট চালু হয়। তবে বিভিন্ন এলাকায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু হলেও সীমিত পরিসরে ব্যবহার করতে পারেন ব্যবহারকারীরা। যদিও পরের দিন বুধবার রাত থেকে কিছু কিছু বাসা-বাড়িতেও মিলছে ইন্টারনেট সেবা। কিন্তু নেই ইন্টারনেটের স্পিড বা গতি। এতে সাধারণ গ্রাহকরা চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন।
ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারীদের সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)’র সভাপতি মো. এমদাদুল হক বলেন, মোবাইল ডেটা ও স্থানীয় ক্যাশ সার্ভার বন্ধ থাকার কারণে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের স্পিড স্বাভাবিকের চেয়ে পাঁচ ভাগের এক ভাগে রয়েছে।
তিনি বলেন, মোবাইল ইন্টারনেট এবং সংযোগবিচ্ছিন্ন ক্যাশ সার্ভার চালু না করলে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতিও বাড়বে না। বর্তমানে দেশের সব সংযোগ চালু করার পরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের পুরো ব্যান্ডউইথ সক্ষমতা শেষ হয়ে গেছে।
এমদাদুল হক বলেন, বাংলাদেশের ব্যবহারকারীরা যে পরিমাণ ইন্টারনেট ট্রাফিক তৈরি করেন, তার ৮০ শতাংশের বেশি পূরণ করে স্থানীয় ক্যাশ সার্ভারগুলো।কিন্তু এখন ক্যাশ সার্ভার কাজ না করায় সম্পূর্ণ ইন্টারনেট ট্রাফিক আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইথের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য ইন্টারনেটের আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইথ ৬,৩০০ জিবিপিএস এর বেশি। ক্যাবল বা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের মাধ্যমে এর ৫৫ শতাংশ ব্যবহার হয়। বাকি ৩ হাজার জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হয় মোবাইল অপারেটরদের মাধ্যমে। কিন্তু এখন কেউই মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন না। তারাও ঝুঁকেছেন ব্রডব্যান্ডে। এতে ব্রডব্যান্ডের ব্যান্ডউইথে অতিরিক্ত চাপ পড়ছে। এরমধ্যে লোকাল ক্যাশ সার্ভার বন্ধ থাকার ফলে আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইথের ব্যবহার বহুগুণ বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, ক্যাশ সার্ভার হলো তথ্য সংরক্ষণ বা ধারণ করার নির্দিষ্ট নেটওয়ার্ক সার্ভার বা সেবা। এতে স্থানীয়ভাবে ব্যবহৃত ওয়েবপেজ ও অন্যান্য ইন্টারনেট কনটেন্ট সেভ করা থাকে। অস্থায়ী স্টোরেজ বা ক্যাশ থেকে আগের ব্যবহৃত তথ্য প্রদানের নির্দেশ দিয়ে ক্যাশ সার্ভার ইন্টারনেট ডেটার গতি বাড়াতে এবং একইসঙ্গে ব্যান্ডউইথের চাহিদা কমাতে ভূমিকা রাখে।
সূত্র: ইত্তেফাক