মেহেরপুরের গাংনী হাসপাতাল বাজারের অবস্থিত মোল্লা ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টারের ভূল প্রতিবেদনে বিপাকে পড়ে আর্থিক ভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন কুতুব আলী(৩৫) নামের এক রোগী। সাধারণ জ্বরকে ডেঙ্গু ও টাইফয়েড হয়েছে এমন ভূল প্রতিবেদন দিয়ে রোগীকে জরুরি ভাবে কুষ্টিয়ায় পাঠিয়ে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করেছেন এমন অভিযোগ রোগীর।
ক্ষতিগ্রস্থ রোগী কুতুব আলী গাংনী উপজেলার জুগীন্দা গ্রামের প্রাইমারী স্কুল পাড়ার রেজাউল হকের ছেলে। কুতুব আলী জানান, গত ৩ অক্টোবর রাতে আমার হঠাৎ জ্বর আসে। পর দিন সকাল ১০টার সময় গাংনী উপজেলা স্বাহ্য কমপ্লেক্্ের চিকিৎসার জন্য যায়। জুরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক আমাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে রক্ত ও প্রসাব পরীক্ষা করিবার জন্য বললে মোল্লা ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টারে গিয়ে সেখানে রক্ত পরীক্ষা করি। মোল্লা ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টারের মালিক ডা: মশিয়ার রহমান মোল্লা, প্রতিবেদন দিয়ে বলেন আপনার ডেগুু ও টাইফয়েড হয়েছে যত তাড়াতাড়ি পারেন কুষ্টিয়া সরকারী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভতি হয়ে চিকিৎসা নেন। তা না হলে বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে।
রোগীর বাবা রেজাউল হক অভিযোগ করে জানান, ছেলেকে বাচাঁনোর জন্য এ্যাম্বুলেস ভাড়া করে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভতির করি। সেখানে কর্মরত চিকিৎসক কুতুব আলী রক্ত পরীক্ষা করিতে দেন। কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে রক্ত পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্ট দেখার পরে চিকিৎসক বলেন আপনার ছেলের ডেগুু ও টাইফয়েড হয়নি। এটা সাধরন জ্বর কয়েক দিন চিকিৎসা নিলে ভালো হয়ে যাবে। তবে গাংনী মোল্লা ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টারের রিপোট সর্স্পন ভুল ছিলো। যে কারনে ২০-২৫হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ করতে হয়েছে।
ধানখোলা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড সদস্য জাফর আলী জানান, কুতুব আলী আমার ওয়ার্ডের বাসিন্দা। সে পেশায় দিনমুজুর। মোল্লা ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টারের তার চিকিৎসার ভুল রিপোট দেওয়া কারনে ভয়ে পড়ে অনেক গুলো টাকা খরচ করতে হয়েছে, তার পরিবারের জন্য এটি এক ধরনের বড় বোঝা।
এ বিষয়ে ডা: মশিয়ার রহমান মোল্লার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।
গাংনী উপজেলা স্বাহ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মাহাবুবুর রহমান জানান, গাংনীতে সব ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ডেগুু পরীক্ষা হয় না। এটা সাধারন রোগিদের জানা নেই তাই ডায়গনস্টিক সেন্টার গুলো রোগীদের সাথে প্রতারণা করছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
-আল-আমীন,গাংনী