রাজধানীর মোহাম্মদপুরে নির্বাচন পরবর্তী হামলায় আওয়ামী লীগের এক এজেন্ট নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।
শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাটাসুর এলাকার রহিম বেপারী ঘাটে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম সুমন শিকদার (২৪)। তিনি ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ মনোনীত নবনির্বাচিত কাউন্সিলর সৈয়দ হাসান নূর ইসলাম রাষ্টনের পোলিং এজেন্ট ছিলেন।
সুমন লালমাটিয়া মহিলা কলেজ কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সুমনসহ ৬ জন রহিম ব্যাপারী ঘাটে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। হঠাৎ অর্ধশত যুবক এসে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এতে সুমন আহত হলে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়।
পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হামলার সময় সবার মুখে মুখোশ পরা ছিল বলে জানা গেছে।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি মো. আবদুল লতিফ যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কী কারণে, কে বা কারা সুমনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তা এখনও জানতে পারেনি পুলিশ।
তবে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
এদিকে সুমনের লাশ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
জানা গেছে, সুমন সিকদারের বাবা আনোয়ার আহমেদ একজন গাড়িচালক। লালমাটিয়ার ৪/২ ব্লকে তিনি পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। এক ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সুমন সবার বড়। তাদের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতিতে।
সুত্র-যুগান্তর