রাজনৈতিক অস্থিরতায় বদলে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাকিস্তানের তিন ম্যাচের ওয়ানডের সিরিজের ভেন্যু।
রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের সব ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতার ফলে সিরিজের ভেন্যু রাওয়ালপিন্ডি থেকে মুলতানে স্থানান্তরিত হয়েছে।
পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের রাজনৈতিক দল এখন সরকারবিরোধী আন্দোলন করছেন, যার ফলে রাজধানী ইসলামাবাদসহ এর আশপাশের এলাকায় আপাতত থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সিরিজের মূল ভেন্যু রাওয়ালপিন্ডি রাজধানী ইসলামাবাদের নিকটেই অবস্থিত। সে জন্য সিরিজের ভেন্যু মুলতানে স্থানান্তর করা হয়েছে।
মুলতানকে আগে থেকেই সিরিজের ব্যাকআপ ভেন্যু হিসেবে ঠিক করে রেখেছিল পাকিস্তান। কারণ পিচ সংস্কারের কাজ চলমান থাকায় করাচি এবং লাহোরে এখন সিরিজ আয়োজন সম্ভব নয়। আর মাঠ সংস্কারকাজের ফলে পেশোয়ারের আরবাব নিয়াজ স্টেডিয়ামও আপাতত ব্যবহার উপযোগী নেই। সে জন্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) ভেন্যু হিসেবে মুলতানকেই বেছে নিতে হয়েছে।
সাধারণত বছরের এই সময়টায় মুলতানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তো দূরের কথা, ঘরোয়া ক্রিকেটও আয়োজন করে না পিসিবি। কারণ এই সময়ে মুলতানের তাপমাত্রা প্রায়ই ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঊর্ধ্বে অবস্থান করে। গত বছর মুলতানে বছরের এই সময়ে পাকিস্তানের নারী ক্রিকেটারদের একটি ক্যাম্প আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছিল পিসিবি। প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে সেই ক্যাম্প শেষতক স্থগিত করা হয়েছিল।
এ সিরিজেও তাই দুদলের খেলোয়াড়দের গরমের সঙ্গে লড়াই করেই খেলতে হবে। তবে ক্রিকেটারদের যাতে একেবারে মাথায় সূর্য নিয়ে মাঠে নামতে না হয়, সে জন্য ম্যাচগুলো হবে দিবারাত্রির। স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় শুরু হবে ম্যাচগুলো।
পাকিস্তান দল এই সিরিজের জন্য ১-৪ জুন লাহোরে অনুশীলন করবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৬ জুন ইসলামাবাদে এসে চার্টার্ড বিমানে মুলতানে যাবে। ৮, ১০ ও ১২ জুন তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে, ম্যাচগুলো আইসিসির ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ সুপার লিগের অংশ। গত ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যখন পাকিস্তান সফর করেছিল তখনই ম্যাচগুলো খেলার কথা ছিল। তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজের পরপরই ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরে করোনা হানা দেওয়ায় তখন ওয়ানডে না খেলেই ফিরে গিয়েছিলেন ক্যারিবিয়রা।