জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি বলেন, রাস্তা হলো উন্নয়নের প্রতীক। যে এলাকার যত রাস্তা হবে, যোগাযোগ যত উন্নত হবে, সেই এলাকা তত উন্নত হবে। উপজেলা থেকে উপজেলা পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ ও মেরামতের ফলে গ্রামাঞ্চলের মানুষের জীবন মান বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের দৈনিন্দিন কাজগুলোকে সহজ করতে পারছি। রাস্তা ঘাটের উন্নয়নের ফলে যোগাযোগ ও আইনশৃংখলার ব্যাপারে নিরাপদ এলাকা হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করতে পারছি।
শুক্রবার দুপুর ১২ টার দিকে মেহেরপুর কলেজ মোড়ে আয়োজিত “৬৪৩ কোটি টাকা ব্যায়ে কুষ্টিয়া ত্রিমোহনী থেকে মেহেরপুর পর্যন্ত রাস্তাটির যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নতিকরণ” শীর্ষক প্রকল্পের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন মেহেরপুর কলেজমোড়ে নামফলক উন্মোচন করে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।
প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আরও বলেন, ২০১৪ সালের পর থেকে মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর উপজেলায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ৪৩৮ কোটি ৪ লাখ টাকা ব্যায়ে ইউনিয়ন ও গ্রামের বিভিন্ন রাস্তা নির্মাণ ও মেরামত করা হয়েছে। এখন কৃষকদের সরাসরি উপকার করার জন্য মাঠের রাস্তাগুলোর কাজ করা হচ্ছে। রাস্তার উন্নয়ন হলে কৃষকরা তাদের ফসল দ্রুত বিক্রি করতে পারেন এবং ন্যায্যমূল্যে পাচ্ছেন। রাস্তা ঘাট ভাল হওয়ার ফলে কৃষকদের জমির দামও বেড়েছে।
তিনি বলেন, মুজিবনগর ঘীরে অনেক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। মেহেরপুর এখন বাংলাদেশের উন্নয়নের রোল মডেল। এই জেলাকে সাজাতে অনেক বড় পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। জেলার রাস্তা ঘাট, স্কুল কলেজ, নাদী নালা ও ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়নের কারণে মেহেরপুর জেলা এখন অর্থনৈতিকভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জামায়াত বিএনপি’র জোট সরকারের আমল ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত অন্ধকার যুগে মানুষ সন্ধ্যার পর বাইরে বের হতে পারতো না। আতংকের মধ্যে থাকতো। মানুষ গ্রামে থাকতে চাইতো না। অথচ, এখন মানুষ গ্রামেই ফিরে গিয়ে বাড়ি তৈরী করছেন। কারণ, এখন গ্রাম আর সেই গ্রাম নয়, গ্রাম এখন শহরে পরিণত হয়েছে। গ্রামগুলো এখন দৃষ্টিনন্দন প্রাকৃতিক দৃশ্যের ছবির মত। কৃষকরা ঘরের দরজা খোলা রেখে ঘুমাতে পারছেন। মাঠের মেসিন আর গোয়ালের গরু চুরি হচ্ছেনা। এখন মানুষ চরম নিরাপত্তার মধ্যে আছেন।
দেশের অগ্রযাত্রা ও উন্নয়নকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার আহবান জানিয়ে ফরহাদ হোসেন বলেন, যারা ইতোপূর্বে ব্যর্থ হয়েছে, খুন খারাপি, জঙ্গিবাদ, চুরি ডাকাতি করেছে। সেই বিএনপি এখন আন্দোলনের হুমকী দিচ্ছে। মানুষ তাদের সেই আন্দোলন সংগ্রামের ডাকে সাড়া দেবেনা। ১৪ সালে তারা যেভাবে পেট্টোল বোমা মেরেছে, তাতে শুধু আওয়ামী লীগের লোক নয়, বিএনপির লোকও পেট্টোল বোমায় ঝলসে গেছেন, মারা গেছেন। তারা আবার সন্ত্রাসীদের নিয়ে হুমকী দিচ্ছেন। জঙ্গিদের নিয়েই বিএনপি জামায়াতের চলাফেরা। বিএনপি জামায়াত যাতে এই উন্নয়ন ও শান্তি বিঘ্নিত করতে না পারে সেব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার আহবান জানান।
সড়ক ও জনপদ বিভাগ কুষ্টিয়া সড়ক সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু হানা মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন, সড়ক ও জনপদ বিভাগ খুলনার অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ আসলাম আলী, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক, মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, মেহেরপুর পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, গাংনী পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী।