প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করেন ইউকে অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এপিপিজি) দুটি পৃথক প্রতিনিধি দল। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বোঝা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এখন মিয়ানমারকে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়া উচিত।
গতকাল বৃহস্পতিবার গণভবনে ইউকে অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এপিপিজি) দুটি পৃথক প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মানবিক দিক বিবেচনা করে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। কারণ, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরাও একই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়ে ছিলাম। সে সময়ে ১ কোটি বাংলাদেশি ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল।’
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন রোহিঙ্গারা আমাদের জন্য একটি বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং এদের কারণে স্থানীয় মানুষকে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।’ মানবিক কারণে ভোগান্তি মেনে নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
সফররত ইউকে কনজারভেটিভ ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ (সিএফওবি) ও ইউকে এপিপিজি অন পপুলেশন, ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিপ্রোডাকটিভ হেলথের প্রতিনিধি দলের সদস্যরাও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ইউকে অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এপিপিজি) সভাপতি অ্যানি মেইন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
ইউকে এপিপিজি প্রতিনিধি দলের সদস্যরা কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তাঁদের সফরের ওপর লেখা একটি প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।
জোর পূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেওয়ায় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রতি তাঁদের সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে আবারও প্রতিশ্রুতি দেন। দুই বছর আগে বাংলাদেশে তাঁদের সফরের বিষয়টি উল্লেখ করে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেন, সেই সময়ের তুলনায় এখন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিবেশ অনেক ভালো হয়েছে।
বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্কের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্রিটেন বাংলাদেশের উন্নয়নে অব্যাহত ভাবে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক আরও গভীর থেকে গভীরতর হবে।
মেপ্র/ নিজস্ব প্রতিনিধি