অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর টেলিভিশনের দেওয়া প্রথম ভাষণে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং লাইং বলেছেন, তার সরকার মিয়ানমারের চলমান পররাষ্ট্রনীতিতে কোনও পরিবর্তন আনবে না।
রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে যে চুক্তি আছে তাতেও কোনও প্রভাব পড়বে না। যদিও ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি তিনি তার ভাষণে উল্লেখ করেননি।
বলেছেন, “দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী যেভাবে গৃহহীন লোকজনকে বাংলাদেশ থেকে ফেরত নেওয়ার কথা ছিল সেটা চলতে থাকবে।”
অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার পর সিনিয়র জেনারেল মিন অং লাইং সোমবার প্রথমবারের মতো মিয়ানমারের জনগণের উদ্দেশে একটি টেলিভিশন ভাষণ দেন তিনি।
এই ভাষণের পুরো কপি ছাপা হয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ‘দ্য গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারে’।
ভাষণের বেশিরভাগ অংশজুড়েই অবশ্য নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার পক্ষে সাফাই দিয়েছেন জেনারেল অং লাইং।
রোহিঙ্গা পুনর্বাসন ইস্যুতে তিনি বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে অস্থায়ী শিবিরে যেসব বাস্তুচ্যুত লোকজন রয়েছে তাদের পুনর্বাসনের কার্যক্রমও অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশের সাথে চুক্তি আলোচনার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। তবে তিনি বলেছেন যদি তা দেশের স্বার্থের কোনও ক্ষতি না করে।
বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের মধ্যে যারা গ্রহণযোগ্য, ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব অনুযায়ী তাদের ফেরার অনুমোদন দেওয়া হবে।