সর্বশেষ আদমশুমারী অনুযায়ী দেশে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা ১৫ লাখ বেশি। এরা বর্তমানে ডিজিটাল মাধ্যমে নানা হয়রানির শিকার হচ্ছে। তাদের জন্য কী করেছে আইসিটি বিভাগ? দেশের বর্তমান আর্থ সামাজিক বাস্তবতায় জেন্ডার ইক্যুয়ালিটি না ইক্যুইটির ওপর ফোকাস করছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে জেন্ডার ইক্যুয়ালিটিতে অংশ নিতে আইসিটিতে কিভাবে অংশ গ্রহণ করবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণীরা? আইসিটিতে গ্রামীণ তরুণ সমাজকে কি কি ফলপ্রসু উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে? করোনার ঘাত মোকাবেলা করে বেকার সমস্যা সমাধানে কী করতে পারি আমরা।
সম্প্রতি সদ্য প্রতিষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্ট্যাডিজ আয়োজিত ভিন্ন ধারার এক সম্মেলনে এমন নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, আগামী দুই দশক আমরা তারুণ্যের অফুরান শক্তি কাজে লাগাতে ২০০৮ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে প্রযুক্তি নির্ভর মর্যাদাশীল ডিজিটা বাংলাদেশ গঠনের রূপকল্প দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাত্র ১৩ বছরে তার সততা, দূরদর্শীতা ও সাহসী নেতৃত্ব দিয়ে তা পূরণ করেছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ভাইয়ের তত্বাবধানে ৪টি শক্তিশালী স্তম্ভেবর ওপর ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি।
তিনি বলেছেন, নারীদের সাইবার দুনিয়ায় সুরক্ষিত রাখতে অপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে আমরা ৩টি বিষয়কে গুরুত্ব দেই। ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে সাইবার হাইজিন, অ্যাওয়ারনেস ও ডিজিটাল লিটারেসিতে প্রাথমিক ধারণা দেয়া। এগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। পাশাপাশি ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করে ইতিমধ্যেই অনেক নারীর সম্মান ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে পেরেছি। প্রযুক্তিগত সক্ষমতা অর্জনের মাধ্যমে এখন যে কেউ ৩৩৩ কলসেন্টারে ফোন করে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের জন্য অথবা সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে কোনো একটা পরামর্শ বা কোনো সুপারিশ, বা আইনের আশ্রয় নিতে পারে। ৯৯৯ এ ফোন করে ৫ বছরে ৯ কোটি মানুষ জীবনরক্ষা সেবা গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যেই আমরা ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার স্থাপন করেছি। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্ট্যাডিজ চাইলে তাদের
ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের লিঙ্গ সমতা নিয়ে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে প্রথমেই উপস্থিত সম্মানিত অতিথিদের সামনে বেশ কিছু প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর।
অধ্যাপক ড. তানিয়া হকের সভাপতিত্বে সেমিনারে সম্মানিত অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান এবং জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক দলনেতা মাশরাফি বিন মুরতজা।