বৃষ্টির শঙ্কা ছিল আগের থেকেই। অবশেষে সেই বৃষ্টি নামলো বাংলাদেশের ইনিংসের সপ্তম ওভার শেষে। আটকে গেলো খেলা। অবশেষে থামলো লিটন দাসের ব্যাটিং ঝড়। তবে এই বৃষ্টি যেন শাপে বর হয়েই এলো বাংলাদেশের জন্য। সপ্তম ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৬৬ রান। এই অবস্থায় যদি আর খেলা না হয় তাহলেই জিতে যাবে বাংলাদেশ। একই পরিমান ওভার শেষে ভারতের রান ছিল ৪৯, তাদের থেকে ১৭ রান এগিয়ে থেকেই ম্যাচ জিতবে বাংলাদেশ।
এর আগে ১৮৫ রানের বিশাল টার্গেটে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ওভারপ্রতি রানের প্রয়োজন ছিল ৯.২৫ করে। ওপেনিংয়ে নেমে চাহিদা অনুযায়ী উড়ন্ত সূচনাই এনে দিলেন লিটন দাস আর নাজমুল হোসেন শান্ত।
লিটনের তুলনায় শান্ত যেন অনেকটা শান্তই ছিলেন। তবে লিটনকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন শান্ত। মাত্র ২১ বলে ফিফটি তুলে নেওয়া লিটনের সঙ্গে শান্ত উইকেট ধরে রেখে সমর্থন দিয়ে গেছেন লিটনকে।
ভুবনেশ্বর কুমারের করা প্রথম ওভারটি দেখেশুনে কাঁটিয়ে দিয়েছেন দুই টাইগার ওপেনার। আর্শদিপ শিংয়ের পরের ওভারেই তিন বাউন্ডারি হাকিয়ে লিটন তোলেন ১২ রান।
ভুবনেশ্বরের প্রথম ওভার থেকে এসেছিলো মাত্র ২ রান। ভারতীয় এই পেসারের করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই আগের ওভারের হিসেবটা যেন পুষিয়ে নিতে চাইলেন লিটন। টানা ১ ছক্কা আর ২ চারে এই ওভার থেকে লিটন তোলেন ১৬ রান। ওভারের পঞ্চম বলে অবসশ্য একবার জীবন পেয়েছেন লিটন, টাইগার ওপেনারের ব্যাটের কানা ছুয়ে যাওয়া বল ঠিকমতো গ্লাভসে জমাতে পারেননি দিনেশ কার্তিক।
চতুর্থ ওভারে বোলিংয়ে এসে মোহাম্মদ শামিকে অবশ্য একটু দেখেশুনেই খেলেছেন টাইগার ওপেনাররা। এই ওভার থেকে আসে ৫ রান।
পঞ্চম ওভারে আবারও বোলিংয়ে আসেন ভুবনেশ্বর। দ্বিতীয় বলে রান আউটের হাত থেকে বেঁচে যায় লিটন। কোহলির সরাসরি থ্রোতে স্ট্যাম্প ভেঙে গিয়েছিলো, তবে তার আগেই ক্রিজে পৌছে গেছেন যান লিটন। ওভারের পঞ্চম বলে স্কয়ার লেগ দিয়ে দুর্দান্ত এক ছক্কা মেরে এই ওভার থেকে লিটন তোলেন ৯ রান।
পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে আবারও শামির হাতে বল তুলে দেয় রোহিত শর্মা। ওভারের প্রথম দুই বলেই টানা চার ছক্কায় মাত্র ২১ বলে নিজেরত ফিফটি তুলে নেনে লিটন। ওভারের চতুর্থ অলে আরও এক বাউন্ডারিতে পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে বাংলাদেশ তোলে ১৬ রান।
পাওয়ার প্লে’র ছয় ওভার শেষে বিনা উইকেটে বাংলাদেশ তলে ৬০ রান। সপ্তম ওভারে আক্ষর প্যাটেল বোলিংয়ে আসলে তার ওভার থেকে ৬ রান তোলে বাংলাদেশ।
এরপরই অ্যাডিলেদের আকাশ ভেঙে ঝরতে শুরু করে বৃষ্টি। মাঠ ছেড়ে উঠে যেতে হয় দুই দলকেই। আর তাতেইও যেন লাভ বাংলাদেশের। সপ্তম ওভার শেষে পার স্কোর অনুযায়ী ভারতের চেয়ে ১৭ রান এগিয়ে বাংলাদেশ। পুনরায় মাঠে খেলা না গড়ালে ১৭ রানেই জয়ী হবে বাংলাদেশ।