শিরোনাম দেখে ধন্দে পড়ে যাওয়া স্বাভাবিক। মোহাম্মদ সালাহ তো লিভারপুলেই খেলেন, তাঁর পক্ষে লিভারপুলের লিগ-স্বপ্নে ধাক্কা দেওয়া কীভাবে সম্ভব?
কিন্তু সেটাই হয়েছে গত রাতে। লেস্টার সিটির সঙ্গে ১-০ গোলে হেরে বসেছে লিভারপুল। ম্যাচের শুরুতেই পেনাল্টি মিস করে বসেন মোহাম্মদ সালাহ। যে পেনাল্টি থেকে গোল হলে জয় না হোক, হয়তো হারতে হতো না অল রেডদের। দ্বিতীয়ার্ধে ইংলিশ উইঙ্গার আদেমোলা লুকমানের একমাত্র গোলে পুরো তিন পয়েন্ট তুলে নিয়েছে লেস্টার সিটি।
গোলদাতার নাম লিভারপুল–সমর্থকদের যন্ত্রণা বাড়াবে আরও। লুকমান যে একসময়ে লিভারপুলের নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এভারটনের হয়ে খেলতেন! শেষ দুই ম্যাচে পাঁচ পয়েন্ট হারানো লিভারপুল এখন লিগ শিরোপা জয় নিয়েই সংশয়ে পড়ে গেছে।
সিটির সঙ্গে লিভারপুলের পয়েন্ট ব্যবধান এখন ছয়, যা দ্রুতই নয়ে পৌঁছে যাবে, যদি আজ রাতে হতে যাওয়া সিটি-ব্রেন্টফোর্ড ম্যাচে সিটি জিতে যায়। যদিও লিভারপুলের হাতে একটি ম্যাচ বেশি আছে, তাও ছয় পয়েন্টের ব্যবধান তো খুব কমও না!
দুই দিন আগে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে ৬ গোল হজম করেছিল লেস্টার। জয় তো বটেই, লিভারপুলও যে সিটির মতো গোল উৎসব করবে লেস্টারকে পেয়ে, তেমনটিই ভেবেছিলেন অনেকে। দুই দিনের ব্যবধানেই ভিন্ন এক লেস্টারকে দেখা গেল। ম্যাচের ১৬ মিনিটেই দলকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন সালাহ।
একগাদা সেন্টারব্যাকের চোটের কারণে রক্ষণে খেলা নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডার উইলফ্রিয়েড এনদিদির কল্যাণে পেনাল্টি পেয়েছিল লিভারপুল। সালাহর নেওয়া সেই পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন লেস্টারের গোলকিপার ক্যাসপার স্মাইকেল। পরে হেড করেও বল জালে জড়াতে পারেননি সালাহ।
টানা ১৫ পেনাল্টিতে গোল করার পর পেনাল্টি মিস করলেন সালাহ। এর আগে ২০১৭ সালে হাডার্সফিল্ডের টাউনের বিপক্ষে পেনাল্টি মিস করেছিলেন সালাহ। পুরো ম্যাচে ২১টি শট নিয়েও গোল করতে পারেনি লিভারপুল।
ওদিকে সাউদাম্পটনের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে টটেনহাম। জেমস ওয়ার্ড-প্রাউসের গোলে ২৫ মিনিটে সাউদাম্পটন এগিয়ে গেলেও ডিফেন্ডার মোহাম্মদ সালিসুর লাল কার্ডের কারণে একটু পিছিয়েই পড়ে যায় দলটা, যার সুফল তুলে নেন হ্যারি কেইন, ৪১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করার মাধ্যমে। এরপরও ১০ জনের সাউদাম্পটনকে হারাতে পারেনি টটেনহাম।