আমাদের জীবনযাপনের অনেকটা সময় জুড়ে আছে চাকরি। সকালে বের হয়ে দুপুর বাইরে কাটিয়ে রাতে বাসায় ফেরা এর মাঝে খাবারটাও ঠিকঠাক পেটে পড়ে না। একদিন দুপুরের খাবার দুইটায় খেলে অন্যদিন চারটায়, কোনো কোনো দিন তো খাবারই খাওয়ার ফুরসত মেলে না। এই খাদ্যাভাস বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে।
মূলত বেশিরভাগ মানুষের শরীরেই এতে প্রোটিনের ঘাটতি দেখা যায়। এর অন্যতম কারণ খাদ্যাভ্যাস। প্রোটিন শরীরের খুব গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি যেমন বেশি হলে সমস্যা, তেমনি কম হলেও। তবে শরীরে প্রোটিন কম না বেশি জানতে কিছু আগাম বার্তা পাবেন।
শরীর ফুলে যায়: প্রোটিনের ঘাটতি হলে শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে যেতে পারে। এছাড়া পেশীর ক্ষয় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি হলে হাত ও পা ফুলে যেতে পারে। হঠাৎ এই লক্ষণ দেখা দিলে সতর্ক হোন।
অনিদ্রা: প্রোটিনের ঘাটতি বাচ্চাদের মধ্যে হলে ‘গ্রোথের’ ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। অ্যানিমিয়ার সমস্যা হতে পারে। আচমকা ওজন বাড়তে পারে। কিংবা হঠাৎ কমতেও পারে।
ত্বক ও চুলের ক্ষতি হয়: প্রোটিনের ঘাটতি হলে ত্বক ও চুলের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। চুল পড়ার সমস্যা বাড়তে পারে। চুল ভঙ্গুর হয়ে যেতে পারে। প্রোটিনের ঘাটতি হলে আপনার ত্বক মারাত্মক রুক্ষ, শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। ত্বকের জৌলুস একেবারেই থাকে না।
হাড়ে ব্যথা: প্রোটিনের ঘাটতি হলে পেশীর ক্ষয় হয়। ভঙ্গুর হয়ে যেতে পারে হাড়। অর্থাৎ প্রোটিনের ঘাটতি হাড়ের গঠনে ক্ষয় ধরায়। অল্পেই হাড় ভেঙে যেতে পারে।
সূত্র: যুগান্তর