১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি আজকের এইদিনে বিএনপি’র একদলীয় ষষ্ট জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভাতুড়িয়া ভোট সেন্টারে আওয়ামী লীগের বাধার মুখে পুলিশের এলোপাথাড়ি গুলিতে শহীদ হন ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডু উপজেলার গুড়পাড়া ভাতুড়িয়া গ্রামের আলতামতি।
তিনি একই গ্রামের আব্দুর রহমান বিশ্বাসের মেয়ে এবং আব্দুল খালেকের স্ত্রী। মৃত্যুকালে তিনি রেখে জান ৪বছরের ছেলে রিপন এবং ৪ মাসের শিশু পুত্র শিপনকে।
আলতামতির ভাই মোঃ আশারাফুল ইসলাম সেদিন অনেক চেষ্টা করেও বিএিনপি আর পুলিশের বাধার মুখে কারও বিরুদ্ধে মামলা করতে সাহস পায়নি। এমনকি হুমকী ধমকীর শিকার হয়ে বাড়ি ছাড়তে হয়েছে তাকে। একই বছর ১২জুন সপÍম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তারপর পরিবারের পক্ষথেকে দাবি করা হয় আলতামতিকে রাষ্ট্রিয় ভাবে শহীদ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে তার অসহায় শিশু সন্তানদের ভোরণ পোষনের ব্যবস্থা করা হোক। অনেক চেষ্টার পর ১৯৯৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলতামতির অসহায় শিশু পুত্রদের ভোরণ পোষণের জন্য এক লক্ষ টাকার একটি পরিবার সঞ্চয়পত্রের ব্যবস্থা করে দেন। কিন্তু স্বামী আব্দুল খালেক দ্বিতীয় বিয়ে করার কারণে পারিবারিক অভাব অনটনে সেই টাকা আস্তে আস্তে তুলে পরিবারের পিছনে ব্যয় করতে থাকে। আর রিপন শিপন মা-বাবাহীন বাউন্ডলে জীবন নিয়ে বড় হতে থাকে। শিক্ষাদিক্ষা কিছুটা গ্রহন করলেও কারও কপালে জোটেনি একটি পিয়নের চাকরীও, চাকুরীতে এখন বড় অঙ্কের ঘুষ লাগে তা দেওয়ার সামর্থ তাদের নেই। কোন নেতাও এখন তাদের আর সেভাবে খোজ রাখেন না।
মৃত্যুর প্রথমদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মশিউর রহমান জোয়ার্দ্দার কিছুটা খোজ রাখতেন এখন কিছুটা খোজ রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু, কিন্তু সেভাবে এখনো কিছুই করা সম্ভব হয়নি।
এ প্রসঙ্গে আলতামতির বড় ছেলে নিঝুম রেজা রিপন বলেন মা হারানোর সাথে সাথে আমরা সব কিছুই হারিয়ে ফেলেছি লেখাপড়া তেমন শিখতে পারেনি কপালে চাকুরীও জোটেনি। কেউ আর এখন খোঁজ খবরও নেই না। এখন আমাদের একটায় দাবি ১৫ ফেব্রুয়ারী খালেদা জিয়ার অবৈধ গণ বিরোধী একদলীয় নির্বাচনের কারণে আমার মাসহ যারা সেদিন শহীদ হয়েছে তাদের সকলকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরমত রাষ্ট্রীয় ভাবে শহীদের স্বীকৃতি দেওয়া হোক।