আগামী ১৫ জুন মেহেরপুর পৌরসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন ২ জন প্রার্থী। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাহফজুর রহমান রিটন নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচনী প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি সদ্য বিদায়ী মেয়র।
অপরজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতু নারিকেল গাছ প্রতিক নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে চেয়ারম্যান ও মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রতীক বরাদ্দের পর নির্বাচনী প্রচার শুরু হয়েছে। এদিকে নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থীরা রিটার্নিং অফিসারের কাছে হলফনামা জমা দিয়েছেন।
হলফনামা ঘেঁটে দেখা গেছে, দুজন প্রার্থীদের মধ্যে শিক্ষা ও সম্পদে এগিয়ে রয়েছেন মাহফুজুর রহমান রিটন, আর মামলায় এগিয়ে রয়েছেন মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতু।
মাহফুজুর রহমান রিটন:
নৌকার প্রার্থী মাহফুজুর রহমান রিটন সদ্য বিদায়ী মেয়র এবং জেলা যুবলীগের আহবায়ক। তরুণ রাজনীতিবিদ। বিএসএস পাস। একটি গাড়ি আছে। ২টি ৫তলা ভবনের মালিক। এর মধ্যে একটি যৌথ মালিকানা। ৫ভরি স্বর্ণ নিজের নামে। স্ত্রীর নামে স্বর্ণ আছে ৪০ ভরি। নিজের নামে জমি আছে ৬শতক। যৌথ মালিকানায় জমি আছে ৯ শতক। স্ত্রীর নামে জমি আছে এক একর ২২ শতক। ব্যাংকে আছে ৪৫ হাজার টাকা। নগদ রয়েছে দেড় লাখ টাকা। একটি প্রাইভেট কার আছে। রয়েছে বাসায় ব্যবহার করা আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী। ব্যাংকে ঋণ রয়েছে ২কোটি টাকা ৮লাখ টাকা। একটি মামলা ছিলো, তা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।
মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতু :
স্বতন্ত্র প্রার্থী। গত নির্বাচনে ৩য় হয়েছিলেন। এর আগে ২৩ বছর ধরে চেয়ারম্যান ও মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি এসএসসি পাস এবং নগদ তিন লাখ টাকার মালিক। ব্যাংকে রয়েছে এক হাজার টাকা। স্ত্রীর নগদ টাকা রয়েছে ৫০ হাজার এবং ব্যাংকে রয়েছে ১৩ লাখ টাকা। নিজের কোন স্বর্ণ না থাকলেও স্ত্রীর রয়েছে ২০ ভরি স্বর্ণ। নিজের নামে কোন জমি না থাকলেও স্ত্রীর নামে রয়েছে কৃষি জমি পৌনে ২ বিঘা, অকৃষি জমি ১৪ শতক এবং ৩ তলা বাড়ি। ব্যাংকে ঋণ রয়েছে ২২ লাখ টাকা।
তাঁর বিরুদ্ধে ১৮টি মামলা। এর মধ্যে ২টিতে অব্যাহতি, ৩টিতে খালাস পেয়েছেন। বাকি ১৩টি মামলা উচ্চ আদালত স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। তাঁর বাৎসরিক আয় ১লাখ ২০ হাজার টাকা। বিভিন্ন খাত থেকে তাঁর পরিবারের সদস্যদের বাৎসরিক আয় প্রায় ৬৪ লাখ টাকা। তিনি একটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের একাংশের মালিক।