কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিবুল ইসলাম খান বলেছেন, সুন্দর হাতের লেখা সৃজনশীলতার পরিচয় দেয়। আবার হাতের লেখা পরিস্কার হলে তা পড়তেও সুবিধা। তাই সুন্দর হাতের লেখার জন্য ছোটবেলা থেকেই সন্তানকে উৎসাহিত করা উচিৎ।
গতকাল শনিবার বিকেলে কুমারখালীতে সাংবাদিক কাঙ্গাল হরিনাথ স্মৃতি জাদুঘরে শিশু কিশোরদের সুন্দর বাংলা হাতের লেখার প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, একটা সময় ছিলো যখন পরীক্ষায় সুন্দর হাতের লেখার জন্য নম্বর সংযুক্ত করতেন শিক্ষকরা। আর এখন যুগ পাল্টেছে, এখন সবার ঘরে ঘরে ল্যাপটপ, হাতে মুঠোফোন বা ট্যাব। তাই বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির উন্নতির কারণে মানুষের হাতে-কলমে লেখার অভ্যাসটা কমে যাচ্ছে। তাই বেশিবেশি করে সুন্দ হাতের লেখা চর্চার উপর গুরুত্ব দিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিশুদের মানসিক বিকাশে হাতের লেখার গুরুত্ব অপরিসীম। তাই অভিভাবকদের উচিৎ তাদের শিশুকে সুন্দর করে হাতের লেখা শিখতে উৎসাহিত করা।
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২০ উদযাপন উপলক্ষে সাংবাদিক কাঙ্গাল হরিনাথ স্মৃতি জাদুঘর এ সুন্দর বাংলা হাতের লেখার প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
প্রতিযোগীতা শেষে পুরস্কার তুলে দেন কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিবুল ইসলাম খান।
সাংবাদিক কাঙ্গাল হরিনাথ স্মৃতি জাদুঘরের সহকারী পচিালক সৈয়দ এহসানুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কুষ্টিয়া সরকারী মহিলা কলেজের ভাইস প্রিন্সিপ্যাল শিশির কুমার রায়, কুমারখালী সরকারী কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক জিল্লুর রহমান বিশ্বাস, স্থানীয় কাউন্সিলর এমএ রফিকসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
শিশু কিশোরদের সুন্দর বাংলা হাতের লেখার প্রতিযোগিতায় দেড়শতাধিক শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।