শীতের রুক্ষ-শুষ্ক মৌসুমে বাড়ির আঙিনায়, বারান্দায় বা ঘরের ভেতর গাছের যত্ন নেওয়া নিয়ে বাড়তি দুশ্চিন্তা কাজ করে। তবে ভালো দিকও আছে। কিছুদিনের মধ্যেই শখের বাগান ভরে উঠবে গোলাপ, গাঁদা বা রঙবেরঙের চন্দ্রমল্লিকায়। শীতের শুরুতে বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত হবেন অনেকে। ইনডোর হোক বা আউটডোর প্লান্ট, সাধারণ কিছু ব্যাপার অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে:
.নতুন গাছ বা গাছের চারা কিনে কিনে সঙ্গে সঙ্গে টবে বসাবেন না। মাটি থেকে সতর্কভাবে শেকড়গুলো আলাদা করুন। টবে অর্ধেক মাটি ভরে সদ্য আনা গাছের চারা পুঁতে দিন। গাছের ছেঁড়া বা আধখাওয়া পাতা ছেঁটে দিন। গাছে আগে থেকে ফুল বা কুঁড়ি থাকলে তাও কেটে দিন। এতে গাছ দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।
.শীতকাল এমনিতেই শুষ্ক। গাছের কচি পাতায় ধুলাকণা জমে যায় খুব তাড়াতাড়ি। নিয়মিত পানি দেওয়া পর্যাপ্ত নয়। পাতায় পাতায় পানি স্প্রে করুন। পারলে হালকা টিস্যু দিয়ে পাতাগুলো মুছে দিন। গাছের গ্রোথ স্বাভাবিক থাকবে।
.শীতকালীন যেকোনো গাছ পরিচর্যার অন্যতম শর্তই হলো বেশিক্ষণ রোদে রাখা। ফুলগাছ বা সবজির গাছ, দিনে কমপক্ষে ৩-৪ ঘণ্টা রোদ প্রয়োজন। শীতকালীন রোদে তেমন প্রাবল্য থাকে না, যা গাছের ফুল-ফল বাড়তে সাহায্য করে।
.গাছের পাতা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে গেলে বা ঝরে গেলে চিন্তা করবেন না। শীতের বদলে যাওয়া আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে সময় লাগে গাছেরও। ঝরে যাওয়া পাতা টব থেকে সরিয়ে রাখুন। অথবা সেই পাতাই টবের মাটিতে বিছিয়ে রাখুন। শীতে মাটির আর্দ্রতা এমনিতেই কমে যায়। পাতা বিছিয়ে রাখলে সেই আর্দ্রতা অনেকটা বজায় থাকে।
.ইনডোর প্লান্ট বাড়িতে আনলে মাথায় রাখতে হবে আরও কিছু বিষয়। প্রথমত, বাড়ির ভেতরের একটা সমস্যা হলো রোদের অভাব। তাই গাছ যা-ই হোক না কেন, রাখুন খোলামেলা জায়গায়। যেখানে অন্তত এক বেলা রোদ পড়ে। খোলা বারান্দা বা জানালার ধার হতেই পারে আদর্শ স্থান। তবে সরাসরি রোদে বেশিক্ষণ না রাখাই ভালো। খোলা বাতাসে গাছ থাকবে সতেজ।
.শীতকালে গাছ পরিচর্যায় সঠিক সারের ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইউরিয়া ও পটাশ সমৃদ্ধ যেকোনো সার ফুলের গ্রোথে খুবই কার্যকর।
.পানির পরিমাণ কিছুটা কমিয়ে দিন। টবের মাটিতে সপ্তাহে এক দিন সার দিন। মাথায় রাখবেন, সার যেন কখনওই গাছের গোড়ায় না পড়ে।
সূত্র: ইত্তেফাক