শীত যখন আসে তখন ব্যথাও আপনাকে তাড়া করে বেড়ায়। ঠাণ্ডা বাতাস হাড়ে ও অস্থিসন্ধিতে ঢুকে শক্ত করে দেয়। তখন এক ধরনের টানটান ব্যথায় কাবু হয়ে পড়েন অনেকে। একগাদা পিল বা ব্যথার ওষুধ খেলে কি নিস্তার মিলবে? বোধহয় নয়।
আর্থ্রাইটিস, ফাইব্রোমায়ালজিয়া ও অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার সমস্যা এই শীতে বাড়তেই পারে। এ ব্যথা কমাবেন কিভাবে? চলুন তা জেনে নিয়:
নিজেকে উষ্ণ রাখুন
ব্যথা কমাতে হলে নিজেকে উষ্ণ রাখাই মূল চ্যালেঞ্জ। দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার ক্ষেত্রে তা আরও সত্য। শীত পোশাক, স্কার্ফ, গ্লাভস ও টুপি শরীরের তাপ ধরে রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি পেশি ও অস্থিসন্ধিগুলো শক্ত হতে বাধা দেয়। শরীরের যেসব স্থানে বেশি ব্যথা অনুভব করেন সেসব স্থান উষ্ণ রাখতে গরম কাপড় এবং প্রয়োজনে কম্বল ব্যবহার করুন।
খাবারে অনিয়ম তো নয়ই
শীতে ডিহাইড্রেশন হতে পারে। ডিহাইড্রেশন ব্যথার উপসর্গ আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। ভেষজ চা এবং স্যুপের মতো উষ্ণ তরল পর্যাপ্ত পরিমাণে পান করলে হাইড্রেটেড থাকতে পারবেন। পাশাপাশি ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ খাবার-যেমন ফ্যাটি মাছ, বাদাম, রঙিন ফল ও শাকসবজি ব্যথা কমাতে অবদান রাখতে পারে।
সেঁক দিন
ব্যথা কমাতে শরীরের যেখানে ব্যথা সেখানে হিটিং প্যাড ব্যবহার করুন। নিয়মিত হালকা গরম পানিতে গোসল করুন। এটি শরীরে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে, মাংসপেশির শক্তভাব কমাতে এবং ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে।
মৃদু ব্যায়াম ও স্ট্রেচিং করা চাই
দৈনন্দিন রুটিনে মৃদু ব্যায়াম এবং স্ট্রেচিং অন্তর্ভুক্ত করুন। এই অভ্যাস অস্থিসন্ধি এবং পেশি নমনীয় রাখতে সাহায্য করে। হাঁটা, সাঁতার বা যোগব্যায়ামের মতো কর্মকাণ্ড শরীরে অতিরিক্ত চাপ না দিয়ে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে উপকারী হতে পারে। তবে কোন ব্যথার জন্য কোন ধরনের ব্যায়াম করবেন সে ব্যাপারে থেরাপিস্টের সাহায্য নেয়া ভালো।
একটানা স্থায়ী ঘুম
ব্যথা কমানোর জন্য পর্যাপ্ত ঘুম খুবই জরুরি। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ঘুমাতে যান এবং আরামদায়ক ঘুমের পরিবেশ তৈরি করুন। শরীরের সংবেদনশীল স্থানে চাপ কমাতে সহায়ক বালিশ বা কুশন ব্যবহার করতে পারেন।
সূত্র: ইত্তেফাক