বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) বলছে, শুকনো কাশিসহ গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, ক্লান্তি এবং শরীরের ব্যথা করোনাভাইরাসের প্রাথমিক লক্ষণ। এছাড়া খুব কম করোনা রোগীরই ডায়রিয়া, বমি এবং নাক দিয়ে পানি পড়ার সমস্যা রয়েছে।
ভাইরাসের লক্ষণগুলো বেশ কয়েক দিনের মধ্যেই দেখা যায় না। প্রাথমিকভাবে মনে হয় ফ্লু হয়েছে। কোনো সংক্রামিত ব্যক্তি যখন বুঝতে পারেন যে তার দেহে করোনার ভাইরাস রয়েছে, ততক্ষণে সম্ভবত আরও কিছু লোককে তিনি সংক্রামিত করে ফেলেছেন। এমন পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব জরুরি হয়ে পড়ে।
করোনা ভাইরাসের কমন উপসর্গ জ্বর এবং শুকনো কাশি।
সাধারণ ফ্লু এবং করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে পার্থক্য করতে চান তখন বলতে হবে, প্রধান উপসর্গ শুধুই শুকনো কাশি। চিকিৎসকদের মতে, এই সংক্রমণে শুকনো কাশি দেখা দেয়। সাধারণ ফ্লুতে শ্লেষ্মা জড়ানো কাশি থাকে।
শুকনো কাশি কেমন হয়?
১. শুষ্ক কাশি একটানা হতে থাকে। এই জাতীয় কাশি গলায় চুলকানি সৃষ্টি করতে পারে।
২. শ্বাসতন্ত্রের ফোলাভাব বা জ্বালা প্রায়শই শুষ্ক কাশির কারণ হিসাবে বিবেচিত হয়।
৩. ভেজা কাশির পরিবর্তে ফ্লু নিরাময়ের পরে শুকনো কাশি বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে থাকে। ৪. শুকনো কাশি সুস্থ হতে সময় নেয়। কখনও কখনও এটি একটি দীর্ঘ সময়ও লাগে।
ভেজা কাশি-
১. ভেজা কাশিতে শ্লেষ্মা থাকে।
২. নাক এবং গলা থেকে শ্লেষ্মা বেরিয়ে আসতে পারে।মূলত শ্লেষ্মা শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষামূলক উপাদান।
৩. অনেক ক্ষেত্রে ক্লান্তি, মাথা ব্যথার মতো লক্ষণগুলিতেও ভেজা কাশি দেখা যায়।
তবে শুষ্ক কাশি মানেই করোনা হয়েছে এমন নয়। শুকনো কাশির পাশাপাশি জ্বর, শ্বাসকষ্ট এবং ডায়রিয়ার সমস্যা হয়। এছাড়া আপনি সম্প্রতি যদি কোনও সংক্রামিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসেন, বিদেশ সফর করেন তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি