মামলা থেকে বাঁচতে গার্মেন্টস কর্মী হয়েছিলেন সিহাব। প্রায় ৫ মাস আগে পাড়ি জমিয়েছিলেন ঢাকাতে। ঢাকার একটি গার্মেন্টেস ফ্যাক্টরিতে চাকুরীও নিয়েছিলেন তিনি।
পুলিশের দায়ের করা করা একটি গাঁজা মামলায় গত বুধবার ১৮ মে মেহেরপুর কোর্টে হাজিরা দিতে বাড়ি এসেছিলেন তিনি।
কোর্টে হাজিরা দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের দুরপাল্লার বাসে করে আবারও কর্মস্থলে ফিরছিলেন সিহাব। পথিমধ্যে কুষ্টিয়ার বারমাইল নামক স্থানে শ্যামলী পরিবহনের ওই বাসটি একটি ক্রেনের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে সিহাব হোসেন মারা যান।
শ্যামলী পরিবহন (এনআর) এর সুপারভাইজার আলমগীর জানান, বারমাইল তেল পাম্পের কাছে আসা মাত্রই বিপরীত থেকে আসা একটি ক্রেনের সাথে সরাসরি ধাক্কা লাগে। এতে মারা যায় সিহাব হোসেন নামের ওই যাত্রী।
সিহাব হোসেন গাংনী উপজেলার রাধাগোবিন্দপুর ধলা গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে।
উল্লেখ্য, সিহাব হোসেন গাঁজাসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিল। এঘটনায় পুলিশ তার নামে মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করে। পরে সে এলাকা ছেড়ে ঢাকায় গিয়ে একটি গার্মেন্টস কারখানায় চাকুরি নিয়ে প্রায় ৬ মাস ঢাকাতে বসবাস করছিলেন।